• সিপিএম-এর রাজ্য সম্মেলনে ‘মহাভোজ’! কাটবে শূণ্যের দশা?
    আজকাল | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: শূণ্য থেকে ঘুরে দাঁড়াতে এলাহি ভোজের আয়োজন সিপিএম-এর রাজ্য সম্মেলনে। আজ, শনিবার থেকে হুগলীর ডানকুনিতে শুর হয়েছে সিপিএম-এর ২৭তম রাজ্য সম্মেলন। রাজ্যের সব প্রান্ত মিলিয়ে প্রায় ৫০০ প্রতিনিধি উপস্থিত সম্মেলনে। এই ৫০০ জন মিলে আলোচনার মাধ্যমে স্থির করবেন কিভাবে শূণ্যের গেরো ঘোচানো যায়। তবে তিনদিনের রাজ্য সম্মেলনে রাজনৈতিক লাইনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে খাওয়া দাওয়ার এলাহি ব্যবস্থা। মেনুতে থাকছে মুরগি, খাসি, মাছ। থাকছে হুগলীর বিখ্যাত সব মিষ্টি- মনোহরা, জলভরা, গুড়ের মিষ্টি, রাবড়ি। থাকছে বিখ্যাত ‘অমর মিস্টান্ন ভান্ডারের’ সব মিষ্টিও। সম্মেলনের দায়িত্বে থাকা জেলা পার্টি ‘কমরেড’দের আপ্যায়নে কোনও খামতি রাখতে নারাজ। ভিন জেলা থেকে আসা প্রতিনিধিদের থাকার জন্য দিল্লি রোড ও দুর্গাপুর একপ্রেসওয়ের ধারে হোটেল, লজ, গেস্ট হাউজ মিলিয়ে ১৩টি জায়গা বুক করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সম্মেলনের আনুমানিক খরচ ১ কোটি টাকারও বেশি জানাচ্ছে পার্টিরই একটি সূত্র।

    এদিকে, লাগাতার নিচুতলার সম্মেলনগুলির খবর সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হওয়া ঠেকাতে কৌসুলি সিপিএম। এবার হার্ড কপি বা সফট কপি কোনোটাই দেওয়ার ঝুঁকি নেয়নি শীর্ষ নেতারা। পরিবর্তে সিরিয়াল নম্বর-সহ কোডিং দেওয়া হচ্ছে প্রতিনিধিদের। যা স্ক্যান করলেই মিলবে খসড়া। যদিও এত কিছু করেও ঠেকানো যায়নি শর্ষের মধ্যে ভুতকে। 

    বিধানসভা ও লোকসভায় শূণ্য। সংগঠনে রক্তক্ষরণ অব্যাহত। যেসব তরুণ মুখদের সামনে রেখে অক্সিজেন পাওয়ার চেষ্টায় নির্বাচনে লড়তে নেমেছিল পার্টি, তাঁদের প্রত্যেকেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। রাজ্য সম্পাদক সেলিম ছাড়া কেউই তেমন সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিতে পারেননি নির্বাচনী লড়াইয়ে। এই পরিস্থিতিতে এরকম আড়ম্বরপূর্ণ সম্মেলেন নিয়ে জেলার কর্মীদের একাংশের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। সম্মেলনের তদারকির দায়িত্বে থাকা এক ‘কমরেড’ যেমন প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, “যা হচ্ছে সব ওপরে ওপরে দেখনদারি। বুথ স্তরে সংগঠন প্রায় নেই’ই। ব্যক্তি কেন্দ্রিক কোন্দল ‘ক্যান্সার কোষ’এর আকার নিয়েছে। হুগলী জেলায় সারা বছরই প্রবল আক্রমণের মুখে পড়তে হয় পার্টিকে। অথচ এরকম জাঁকজমকপূর্ণ সম্মেলন হচ্ছে নির্বিঘ্নে। কোনও আক্রমণ, বাধা নেই। এটা কিসের ইঙ্গিত?’’।

     
  • Link to this news (আজকাল)