মিল্টন সেন,হুগলি: উধাও হয়েছে সমাধির ফলক। শ্রীরামপুরের ডক্টর টিপি ভট্টাচার্য স্ট্রিটে রয়েছে ড্যানিশ গোরস্থান। রয়েছে মোট ৬১ টি ড্যানিশ দেহাবশেষ। কিন্তু দুই তিনটি সমাধি সৌধে ফলক লাগানো থাকলেও উধাও হয়েছে অধিকাংশ সমাধির ফলক। ফলে সমাধি চেনার ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন সেখানে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। হুগলির অন্যতম প্রাচীন শহর শ্রীরামপুর। একদা সেখানে ছিল ড্যানিশ বাণিজ্য নগরী। টানা ১৭৫৫ থেকে ১৮৪৫ পর্যন্ত তৎকালীন ফ্রেডরিক্সনগর ড্যানিশদের অন্তর্গত ছিল।
ফ্রেডরিক্সনগর ছেড়ে ড্যানিশরা চলে গেছে অনেক দিন। তবে রয়ে গেছে তাঁদের সেই সময় তাদের স্থাপত্যের নিদর্শন। এমনই একটি জায়গা ডক্টর টিপি ভট্টাচার্য স্ট্রিটের ড্যানিশ গোরস্থান। বর্তমানে এই সমাধি সৌধটি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আওতার রয়েছে। বছর দুয়েক আগে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের আওতায় আসার পর নতুন করে জায়গাটি সংস্কার হয়েছে। ভগ্নপ্রায় দশা থেকে চেহারায় ফিরেছে সমাধি সৌধগুলি। তবে তাঁদের নামের ফলক এখনও সঠিকভাবে না পাওয়ার কারণে বসানো সম্ভব হয়নি।
এই প্রসঙ্গে সেখানে আসা এক পর্যটকরা জানিয়েছেন, শ্রীরামপুর ঐতিহাসিক নিদর্শন এর জায়গা। ইন্দো ডেনমার্ক সম্পর্কের নিদর্শন ওখানে বিদ্যমান। তবে যাদের কারণে এই ডেনিস নগর গড়ে উঠেছিল, সমাধিক্ষেত্রে তাঁদেরই নাম নেই। ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। তাঁরা বুঝতে পারছেন না কোনটা কার সমাধি ক্ষেত্র। বিষয়টাকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। ফলক না থাকার ফলে গোরস্থানে কোন সমাধিটি কোন মানুষের তা চেনা দায় হয়ে উঠেছে। ড্যানিশ কর্নেল কেফ্লিং, গভর্ণর হেলেনবার্গর মতন ড্যানিশ সমাধিতে আর কে কে ছিল? তা আর কোনও ভাবেই জানা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের বক্তব্য গোটা বিষয়টি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আওতায় রয়েছে। তাঁরাই দেখাশোনা রক্ষণাবেক্ষণ করছেন ফলে তাঁরাই বলতে পারবেন।