• বারুইপুরে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি, ভুয়ো? শুরু রাজনৈতিক তরজা
    আজ তক | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • প্রতিটি বুথেই নতুন ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে প্রচুর পরিমাণে। কোথাও ২০০, ৩০০ তো কোথাও আরও বেশি। বাস্তবে নতুন ভোটারদের অর্ধেকেরই কোনও অস্তিত্ব মিলছে না। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর ব্লকের অন্তর্গত চম্পাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার ভুয়ো ভোটার বেড়েছে রাতারাতি। ভোটার তালিকায় মালদা, মুর্শিদাবাদ, শিলিগুড়ির বাসিন্দার নাম যা নিয়ে চিন্তিত পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে ব্লক নেতৃত্ব। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অবশ্য এটা 'তৃণমূলের চক্রান্ত' বলে কটাক্ষ করেছে। পরিকল্পনা করেই এই ভুয়ো ভোটার তৈরি করা হয়েছে এলাকায় এলাকায়, দাবি তাঁদের। তৃণমূলের তরফ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশন সহ ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের।

    মহারাষ্ট্র ও দিল্লির ভোটে অস্বাভাবিক হারে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে তথ্য-সহ অভিযোগ এনেছেন বিরোধীরা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিযোগ করেছেন আসল ভোটারদের বাদ দিয়ে বহিরাগতদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই বারুইপুরের চম্পাহাটি পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকা স্ক্রুটিনি করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে ভূতুড়ে কাণ্ড। মালদা, মুর্শিদাবাদ, শিলিগুড়ির লোকজনের নাম উঠে এসেছে ভোটার তালিকায়। চাঞ্চল্যকরভাবে একই ফোন নম্বর যুক্ত আছে চার-পাঁচজনের নামে, যা খোঁজ করতে গিয়ে বিস্মিত হয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে সদস্যরা।

     সূত্রের খবর, গত লোকসভা ভোটে পঞ্চায়েত এলাকার ভোটার সংখ্যা ছিল সাড়ে ১৮ হাজার থেকে ১৯ হাজার। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা গিয়েছে ভোটার বেড়ে হয়েছে ২২ হাজার ৪০০। এরপর স্ক্রুটিনি করতে গিয়েই এই ভূতুড়ে বিষয়টি সামনে এসেছে। পঞ্চায়েতের ২২টি সংসদের মধ্যে কোনও বুথে বেড়ে গিয়েছে ২০০ ভোটার তো কোনও বুথে বেড়েছে ৩০০ ভোটার।

    ভোটার তালিকা ধরে স্ক্র্ুটিনি করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথে গত লোকসভা ভোটে ভোটার সংখ্যা ছিল ১,০৫৩ জন। এবার তা অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়ে ১, ৩৫৭ জন হয়েছে। যাঁদের এলাকায় কোনও অস্তিত্ব নেই। এদের কারওর বয়স ৬৬ বছর, কারেওর বা ৬০ বছর। ভুয়ো ভোটারদের তালিকায় থাকা ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে দেখা গিয়েছে মালদার কোনও এক সাইবার ক্যাফেতে ফোন ধরেছে। এভাবেই ভুয়ো ভোটারের তালিকা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। এর পিছনে কোনও চক্রান্ত রয়েছে না এটি নিছকই ভুল সেটাই বড় প্রশ্ন। তবে বিরোধীরা এ বিষয়ে রাজ্যের শাসক দলকেই দায়ী করেছেন। তাঁদের দাবি রাজ্য সরকারি কর্মীরাই এই তালিকা তৈরি করেছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশে এই ভুয়ো তালিকা তাঁরাই বানিয়েছেন। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। তাঁদের দাবি সঠিক তদন্ত হোক কীভাবে এই ভুয়ো তালিকা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন তাঁরা।
  • Link to this news (আজ তক)