প্রসেনজিৎ মালাকার: দুবরাজপুরের বক্রেশ্বরের জ্যোতির মাঠ নামে একটি জঙ্গলে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা প্রেমিক যুগলের। মৃত যুবকের নাম গোপাল বাগদি ও যুবতীর নাম সুপ্রিয়া বাগদী। দুজনেরই বাড়ি বক্রেশ্বরে। মৃত যুগলের বাড়ি পাশাপাশি। জানা গেছে, মৃত সুপ্রিয়া বাগদি দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ও মৃত গোপাল বাগদি ভীন রাজ্যে কাজ করতো। দশ দিন হল বক্রেশ্বরে এসে দিনমজুরের কাজ করতো। পাশাপাশি কিছুদিন বাদেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিত সুপ্রিয়া। কিন্তু তার আগেই মেয়ের এমন পরিণতি ভাবতেই পারছেন না পরিবারের লোকেরা। শুক্রবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল দুজন।
শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই বক্রেশ্বর নদীর ধারে জ্যোতির মাঠের জঙ্গলে, একটি গাছ থেকে তাদের ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। যদিও প্রেমের ঘটনা জানত দুই পরিবারই। কী কারণে প্রেমিকযুগল আত্মহত্যা করলেন সেই বিষয়ে ধোঁয়াশায় পরিবারের লোকজন। এমনকি জানা গিয়েছে, কোনদিন দুই পরিবারের মধ্যে কোন ঝামেলাও হয়নি বলে জানান মৃত যুবকের বাবা আনন্দ বাগদী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুবরাজপুর থানা ও বক্রেশ্বর পুলিস ফাঁড়ির পুলিস। দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
উল্লেখ্য, বীরভূমের মহম্মদবাজার ও মল্লারপুর থানার সীমানায় রয়েছে ম্যানেজার পাড়া। সেখানে থাকতেন লক্ষ্মী মাড্ডি (২৫)। দুই সন্তান রূপালি (১০) ও অভিজিৎ (৮)-কে নিয়ে থাকতেন তিনি। তাঁর স্বামী লালটু কর্মসূত্রে দুর্গাপুরে থাকতেন। শুক্রবার সকালে তাঁদের তিনজনের দেহই উদ্ধার হয় ঘর থেকে। ঘরে খাটিয়ার উপর পড়ে লক্ষ্মী ও রূপালির কম্বল জড়ানো দেহ। খাটিয়ার নিচে পড়েছিল ৮ বছরের অভিজিতের দেহ। তিনজনের মাথাতেই মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। স্থানীয়দের দাবি, তিনজনকে খুনই করা হয়েছে।
(Disclaimer: আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ... iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১ কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭)