• ‘মেয়ে-বউদের নিয়ে হুমকি দিত’ ট্যাংরাকাণ্ডে এবার বিস্ফোরক প্রণয়-প্রসূন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • Kolkata Tangra Case Update: বাড়িতে পাওনাদারদের । দে ব্রাদার্সের যুক্তি, সে কারণেই সকলে মিলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

    হাসপাতাল কর্মী বা চিকিৎসকদের বলা এই কথা অবশ্য তারা পুলিশি জেরায় বলেছেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তবে সত্যিই এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার সামিল বলেও গণ্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে পাওনাদারদেরও পুলিশি জেরার সম্মুখীন হতে হবে।



    তবে এমন স্বীকারোক্তি আরও বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। প্রাথমিকভাবে বড় প্রশ্ন, পাওনাদাররা যদি এমন হুমকি দিয়ে থাকেন, তবে সে কথা পুলিশকে কি জানানো হয়েছিল? পুলিশকে জানানো হয়ে থাকলে কী ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ? যদি পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের না হয়ে থাকে, তবে কেন অভিযোগ করলেন না দুই ভাই? কেনই বা নিরাপত্তা চাননি? আপাতত গোটা বিষয়টিই তদন্তসাপেক্ষ।



    প্রসঙ্গত, এই দুই ঘটনায় বড় সাক্ষীর ভূমিকা পালন করতে পারেন বাড়ির নাবালক পুত্র‌। বর্তমানে সে ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে হাসপাতাল সূত্রের খবর, তার হাতে একটি ধারালো অস্ত্রের দাগ পাওয়া গিয়েছিল। ওই দাগ দেখে মনে করা হচ্ছে, তাকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সে চেষ্টায় অসফল হন দুই ভাই‌। তখন গাড়িতে নিজেদের সঙ্গে যেতে বলেন।

    অন্য এক পুলিশি জেরায়, আবার এই দুই ভাইই জানিয়েছেন, ছেলেটিকে তারা নামিয়ে দিতে চান। দুর্ঘটনা ঘটার ঠিক আগের মুহূর্তে ছেলেটিকে নেমে যেতে বলেন। কিন্তু সে রাজি হয়নি। যদি ছেলেটিকে বাঁচানোর পরিকল্পনা থেকে থাকে, তাহলে কেন গাড়িতে বসানো হল, সে নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে গাড়ির সামনের সিটে বসেছিল ছেলেটি। অর্থাৎ যেখানে বসলে এই ধরনের দুর্ঘটনায় আহত বা প্রাণহানি হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। ছেলেটিকে বাঁচানোর চেষ্টা হলে ওখানে বসতে বাধা দেওয়া হল না কেন, সে প্রশ্নও রয়ে যায়‌।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)