বাংলায় শূ্ন্য সিপিএম। ৩৪ বছর ধরে যে দলটি রাজ করত বাংলায় তাদের ঝুলিতে এখন একটি আসনও নেই। একেবারে শূন্য। ক্ষমতাহীন, দিশেহারা অবস্থা। সংগঠন নড়বড়ে। কর্মী সংখ্য়াও কমছে ক্রমশ। তবে তার মানে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনে আড়ম্বর কোনও অংশে কমে গেছে সেটা কিন্তু নয়।
সেই ২০১১ সাল থেকে বাংলায় ক্ষমতায় নেই সিপিএম। এরপর এতগুলো বছর কেটে গিয়েছে। আরও দিশেহারা হয়েছে সিপিএম। সামনেই ২০২৬। বিধানসভার মহারণ। তবে তার আগে ডানকুনিতে ২৭ তম রাজ্য সম্মেলন।
ডানকুনিতে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন। একেবারে এলাহি আয়োজন সেই সম্মেলনে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন সিপিএমের নেতা নেত্রীরা।
সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন। সেখানে আগামী দিনে পার্টি কীভাবে চলবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে পুরোদমে। তবে কেবলমাত্র আলোচনাই নয়, খাওয়ার মেনুতেও একেবারে এলাহি বন্দোবস্ত।
শনিবার দুপুরে ডানকুনিতে কোল কমপ্লেক্সের শান্তিমঞ্চে দলীয় পতাকা উত্তোলনের সম্মেলনের সূচনা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারপার্সন বিমান বসু। প্রকাশ কারাট, বৃন্দা কারাট, মানিক সরকার, মহম্মদ সেলিম, অশোক ধাওয়ালে, এমএ বেবি, অশোক ধাওয়ালে, সূর্যকান্ত মিশ্র, হান্নান মোল্লা সহ বামেদের একেবারে প্রথম শ্রেণির নেতা নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন এই সম্মেলনে।
এদিকে রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে ডানকুনি শহরে চলছে অর্থ সংগ্রহের কাজ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য দেবব্রত ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
তবে রাস্তায় বেরিয়ে কাপড় পেতে অর্থ সংগ্রহ চললেও রাজ্য সম্মেলনের খাওয়াদাওয়া কিন্তু এলাহি। সূত্রের খবর, শনিবার ৮০০জনের রান্না হয়েছে সব মিলিয়ে। সেখানে ভাত, পটল চিংড়ি, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, কাতলা কালিয়া, চাটনি ছিল। সন্ধ্যায় চিকেন পকোড়া, ভেজ পকোরা। রাতের খাবার পোলাও, রুমালি রুটি, চিকেন কারি। মিষ্টি, সন্দেশও থাকছে।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, ক্ষমতায় থাকার সময়তেও সিপিএমের জেলা তথা রাজ্য সম্মেলনে এলাহি খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হত। এখন ক্ষমতা নেই। এখনও সেই ধারা বহমান। তবে এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি বিষয়। সেটা হল সম্মেলন সংলগ্ন এলাকাতেই হুগলি জেলার ঐতিহ্য বলে রামকৃষ্ণ পরমহংসের ছবি দেওয়া হয়েছে। ছবির নীচে আবার লেখা সিপিএম। কার্যত হুগলি জেলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ। কিন্তু সম্মেলন স্থলে এসে এসব দেখে গুলিয়ে যাচ্ছে অনেকেরই।