• 'সোশ্য়াল মিডিয়া একশবার দরকার কিন্তু মাটিতে পা রেখে জনসংযোগ…'কুণালের নিশানায় কে?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • মাটিতে পা রেখে মূল জনসংযোগ, জনপরিষেবা হল আসল মন্ত্র। লিখলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন ,আজকের দিনে ফেসবুক, ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়া একশোবার দরকার; কিন্তু মাটিতে পা রেখে মূল জনসংযোগ, জনপরিষেবা হল আসল মন্ত্র।

    ঠিক কাকে নিশানা করে তির ছুঁড়লেন তিনি। মাটিতে পা না রেখে দলের কোন নেতা কেবলমাত্র সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভেসে রয়েছেন? তবে এটা বোঝা যাচ্ছে যারা কেবলমাত্র সোশ্য়াল মিডিয়ায় থাকেন কিন্তু মাঠে ময়দানে দেখা যায় না তাঁদেরকেই সতর্ক করা হয়েছে। 

    ‘আজকের দিনে ফেসবুক, ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়া একশোবার দরকার; কিন্তু মাটিতে পা রেখে মূল জনসংযোগ, জনপরিষেবা হল আসল মন্ত্র। মানুষ খুব সচেতন। কোনটা মূলত প্রচারের জন্য আর কোনটা দশজনের সঙ্গে মিশে একশজনের জন্য কাজ, তাঁদের বুঝতে দেরি হয় না। সংগঠনের প্রতি আনুগত্য, সাংগঠনিক কাজ, সামাজিক কাজ এবং প্রচারের সুষম মিশ্রণ না হলেই ভারসাম্যের অভাব, গোলমাল। ভালো কর্মী না হলে ভালো নেতা বা নেত্রী হওয়া কঠিন। এটা শুধু রাজনৈতিক দল নয়, কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন শাখায় প্রযোজ্য। যোগ্য নেতৃত্বের সাফল্যের চাবিকাঠি হল তাঁর কর্মিজীবনের অভিজ্ঞতার বাস্তবমুখী সময়োপযোগী প্রয়োগ।’

    সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয় কুণাল ঘোষ। আর সেই এক্স হ্যান্ডেলে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন কুণাল। তিনি স্পষ্ট লিখেছেন, ভালো কর্মী না হলে ভালো নেতা বা নেত্রী হওয়া কঠিন। এটা শুধু রাজনৈতিক দল নয়, কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন শাখায় প্রযোজ্য।

    তবে কুণাল ঘোষের এই পোস্টের পরে নানা জনে নানা মন্তব্য করেন। একজন লিখেছেন, ধুর ছাড়ুন তো, যত সব সুযোগ সন্ধানী গল্প। নিজস্বতা বলতে তো কিছুই নেই। কারা কান দেয় আপনাদের কথায়? যারা ভাতাজীবী, তোলাভোগী জীবনে টিকে থাকার জন্য আপ্রাণ এই সব প্লাটফর্মে চেঁচিয়ে যাচ্ছে।

    অপর একজন লিখেছেন কিছু আগাছা ছেঁটে বের করুন দাদা, দলকে নষ্ট করছে।

    তবে কুণালের এই পোস্টের পরে বিজেপি নেতৃত্ব একেবারেই গুরুত্ব দিতে রাজি নন। তাঁদের মতে, কুণাল ঘোষ নিজেই তো সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমে ভেসে থাকার চেষ্টা করেন।

    তবে এক নেট নাগরিক লিখেছেন, যোগ্য় যারা তারা মর্যাদা পায়নি। বিভিন্ন দলের ব্যবসায়ীরা দলে এসে ব্যবসা চালায়। মনে হয় ১৯৯৮ থেকে তারা দলটা করে। জেলায় এমএলএ দের তোলা দিতে পারলে ব্লক প্রেসিডেন্ট আর তা না দিতে পারলে নতুন ব্লক প্রেসিডেন্ট। এই তো হল অবস্থা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)