• আজই ছাড়া পাবেন না ট্যাংরাকাণ্ডে হাসপাতালে ভর্তি দুই ভাই ও নাবালক, খবর সূত্রের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • Kolkata Tangra Case Update: ট্যাংরাকাণ্ডে হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন প্রণয় দে ও প্রসূন দে ও তাদের নাবালক পুত্র। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর ছিল, আজই নাবালককে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এক ভাইকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে। অন্য ভাইকে অবস্থা স্থিতিশীল নয় বলে আজই ছাড়া হবে না। কিন্তু কিছুক্ষণ আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আজ কাউকেই ছাড়া হচ্ছে না।

    দুর্ঘটনার অভিঘাতে হিপ জয়েন্টে ফ্র্যাকচার ছিল প্রণয়ের। একইসঙ্গে শরীরের ডান দিকের বেশ কয়েকটি ফ্র্যাকচার হয়ে যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অপারেশনের পর আপাতত প্রণয়ের অবস্থা স্থিতিশীল। কিন্তু আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখার দরকার রয়েছে। তাই তাঁকে সরকারি হাসপাতালে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।


    অন্যদিকে প্রণয়ের নাবালক ছেলের কাঁধে আলনার কাছে ফ্র্যাকচার পাওয়া গিয়েছিল। ডান হাতের কব্জিতেও ছিল ধারালো অস্ত্রের আঘাত। হাসপাতালে তার রিকনস্ট্রাক্টিভ সার্জারি হয়েছে। নাবালকের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।

    ছোট ভাই প্রসূনের পাঁজরে আঘাত লেগেছিল বলে সূত্রের খবর। তাঁর অবস্থা এখনও ততটা স্থিতিশীল নয় বলে জানা গিয়েছে। ফলে তাঁকে ছাড়া বা অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা এই মুহূর্তে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র।


    অন্যদিকে পুলিশ সূত্রের খবর, আজ থেকেই জেরা করা হতে পারে দুই ভাই ও নাবালককে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দুই ভাইকে হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। অন্যদিকে নাবালক পুত্রকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে না হোমে পাঠানো হবে, সে ব্যাপারেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

    প্রসঙ্গত, দুই ভাই প্রাথমিক জেরায় পুলিশকে জানিয়েছে, দেনার দায়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা। ১৯ ফেব্রুয়ারি দেনা মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু ১০ ফেব্রুয়ারি তাঁরা বুঝতে পারেন, কোটি কোটি টাকার দেনা তাদের পক্ষে মেটানো অসম্ভব। তখন থেকেই আত্মহত্যার ছক কষতে থাকেন। প্রথমে দুই ভাই পায়েশে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সেই চেষ্টা করেন। কিন্তু চেষ্টা বিফল হওয়ায় গাড়ি দুর্ঘটনার পরিকল্পনা করেন তাঁরা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)