• স্বামীদের একা মরতে দিতে রাজি ছিলেন না বধূরা, তাতেই সপরিবারে আত্মাহুতির সিদ্ধান্ত
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ট্যাংরায় একই পরিবারের ৩ নারী সদস্যের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হয়েছে খুনের তত্ত্ব। আর তার পরই পুলিশকে চাঞ্চল্যকর বয়ান দিয়েছেন ২ ভাই প্রণয়দে ও প্রসূন দে। পুলিশকে তাঁরা জানিয়েছেন অন্তত ১ সপ্তাহ ধরে আত্মহত্যার পরিকল্পনা চলছিল। কিন্তু সবাই সহমত না হওয়ায় ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছিল পরিকল্পনা। ওদিকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পাওনাদারদের টাকা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২ ভাই। তার আগের দিন গোটা পরিবারকে শেষ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তাঁরা।

    জেরায় ২ ভাই জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে বহু মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা পেতেন। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া টাকা মেটাতে পারছিলেন না তাঁরা। যেজন্য নিয়মিত পাওনাদারদের চাপ বাড়ছিল। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁদের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রণয় ও প্রসূন। কিন্তু ১০ ফেব্রুয়ারি তাঁরা বুঝতে পারেন, কোনও ভাবেই ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিশ্রুতি রাখা সম্ভব নয়। এর পরই আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেন ২ ভাই। সেকথা নিজেদের স্ত্রীদের জানান তাঁরা। তাঁরা দাবি করেছেন, স্ত্রীরা স্পষ্ট করে দেন, তাঁরা সবাই একসঙ্গে আত্মঘাতী হবেন। এমনকী নাবালক সন্তানদেরও বাঁচিয়ে রাখা যাবে না।

    পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় প্রসূন জানিয়েছেন, পরিকল্পনা মতো গত সোমবার ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খান সবাই। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে ২ ভাই ও বড় ভাইয়ের ছেলের ঘুম ভেঙে যায়। এর পর জেগে যান ২ ভাইয়ের স্ত্রীরাও। তখন তাদের ফের ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এর পর ছুরি দিয়ে হাতের শিরা ও গলা কেটে খুন করা হয় তাদের। স্ত্রীদের খুন করার পর প্রণয় - প্রসূনও ছুরি দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সফল হননি। এর পর গভীর রাতে গাড়ি নিয়ে আত্মঘাতী হতে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। কিন্তু প্রণয়ের ছেলেকে বিরত হওয়ার জন্য ২ জন বোঝাতে থাকে। কিন্তু সে রাজি হয়নি। অবশেষে বাইপাসে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মারে তারা।

    ওদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, খুনের অন্তত ৩ - ৬ ঘণ্টা আগে শেষবার খাওয়া দাওয়া করেছিলেন পরিবারের ২ বধূ সুদেষ্ণা ও রোমি দে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)