• অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করায় বাড়িতে হামলা, অভিযোগ তৃণমূল কর্মীরই
    এই সময় | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ফের বীরভূমে গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ। এক দিকে কাঁকরতলা থানা এলাকায় তৃণমূল কর্মী শেখ নিয়ামুলকে খুনের ঘটনায় যখন তোলপাড়। তখন শান্তিনিকেতন থানার রূপপুর গ্রামপঞ্চায়েতের মোমিনপুরে অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের মারধরের অভিযোগ উঠল। শুক্রবার রাতে অনুব্রত-অনুগামীদের মারধর, বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ইটবৃষ্টি চলে। ভাঙচুর করা হয় বাড়িঘর, বাইক, দোকান প্রভৃতি। চালানো হয় লুঠপাট।

    অভিযোগ, বীরভূম তৃণমূল জেলা পার্টি অফিসে যাওয়ায় ও অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করার জন্য মোমিনপুরের এক পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয় এবং বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাবু দাস নামে স্থানীয় এক নেতার দিকে অভিযোগের আঙুল।

    ওয়াহিদা রহমান নামে এক মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী শুক্রবার বোলপুর গিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামের কয়েক জন জানিয়ে দেন, অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে জেলা পার্টি অফিসে গিয়েছেন। এর পরই রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে বাড়িতে হামলা চালায়। দোকানের দরজাও ভেঙে দেয় বলে দাবি ওয়াহিদার।

    ওয়াহিদার অভিযোগ, ‘আসলে আমার বর কেষ্টদার সঙ্গে ওঠাবসা করেন। সেটা বাবু দাস, লোহাগড়ের মধুদের পছন্দ নয়। ওরা বলে, ওদের সঙ্গে থাকতে হবে। কিন্তু এটা তো আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।’

    যাঁর বাড়িতে হামলা হয়েছে সেই নূর আলম বলেন, ‘কেষ্টদার সঙ্গে দেখা করায় আমাদের গ্রামের কয়েক জনকে তাতিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। বাবু দাসের নির্দেশ ছাড়া এটা হতেই পারে না। ওরা শুক্রবার বিকালে শ্রীনিকেতনে মিটিংও করেছে। কেষ্টদার সঙ্গে দেখা করার জন্য এত কিছু হবে ভাবতেও পারিনি।’ যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই বাবু দাসের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।

    গতকাল রাতে অনুব্রত মন্ডলের সাথে দেখা করার পর বাড়ি ঢোকার সময় বাড়ির দুয়ারে বেধড়ক মারধর করে নূর আদসাদ মোল্লা, সাদের আলী মিয়া, মুজিবর মিয়া, কে বেধড়ক মারধর করে। পুলিশের তৎপরতায় তাদেরকে বোলপুর মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই এখন চিকিৎসাধীন আছে।শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

  • Link to this news (এই সময়)