• হামলার পাঁচ মাসের পর জোড়া লাগল কাটা হাত, নতুন জীবন পেয়ে এসএসকেএম-কে ধন্যবাদ যুবকের
    আজকাল | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: অতর্কিত হামলায় চপারের আঘাতে কাটা যেতে বসেছিল দুই হাতের পাঞ্জাই। সেই ঘটনার প্রায় পাঁচ মাস পর জীবন ফিরে পেলেন রমজান। এসএসকেএমের চিকিৎসকদের বদান্যতায় নতুন জীবন ফিরে পেলেন যুবক। 

    ঘটনার সূত্রপাত গত বছর ১৫ আগস্টে। ওই দিন রাতে ফুটবল খেলা নিয়ে এলাকার বেনিয়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা ছাটন কাল্লুর সঙ্গে বচসা হয় বাঁধে স্থানীয় যুবক রমজানের। এলাকাবাসীদের মধ্যস্থতায় ওই দিনের মতো ঝামেলা থেমে গেলেও, প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন ছোটন। পরের দিন অর্থাৎ ১৬ আগস্ট রমজান তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে এলাকার একটি কারখানার ভিতরে বসে আড্ডা মারছিলেন। বিকেল ৩টে নাগাদ ছোটন এলাকার বাইরের বেশ কিছু ভাড়াটে গুন্ডাদের সঙ্গে নিয়ে অতর্কিতে হামলা করেন রমজানের উপর। প্রথমে রমজানের দুই হাতের পাঞ্জার উপর চপার দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর বন্দুক দিয়ে গুলি করতে গেলে বন্দুক বিকল হয়ে যায়। তাই গুলি চলেনি। হইহট্টগোলে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে চলে এলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় পাঁচ দুষ্কৃতী।

    এলাকাবাসীরা রমজানকে চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিগম ওরফে শেখ গুলাম, বিল্লা ওরফে শেখ শাহনওয়াজ, লাভো ফিরোজ ওরফে মহম্মদ ফিরোজ, ডাকু ফইয়াজ ও ছাটন কাল্লু ওরফে শেখ শাহনওয়াজ-এর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি দুজন ছাটন কাল্লু ও তাঁর এক সাগরেদ পালিয়ে যায় নেপালের কাঠমান্ডুতে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের জাল গুটিয়ে আনা হয়েছে। খুব শীঘ্রই দু'জনে ধরা পড়বে।

    হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রমজান জানিয়েছেন, এলাকায় মুরগির ব্যবসা রয়েছে তাঁর। কয়েক বছর আগে বিয়েও করেছেন। তাঁর অভিযোগ, পার্ক সার্কাস এলাকার হাড্ডিবাগানের ঝুপড়ি পাড়ার বাসিন্দা ছাটন কাল্লু এলাকায় মহিলাদের ওপরে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে অত্যাচার চালাত। গরিব মানুষের ঝুপড়ি বা বাড়ি কেড়ে নিয়ে চড়া দামে পুনরায় বেআইনি নির্মাণ করে বিক্রি করত। একই সঙ্গে বহু মেয়েদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানিও করত। তাঁকে মদত দিতেন দাঁড়াপাড়া এলাকার প্রোমোটার শেখ আলম নামে এক ব্যক্তি। কাল্লুর কুকর্মে বাধা দেওয়াতেই তাঁর উপর আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রমজানের।

    রমজান আরও জানিয়েছে, ১৬ আগস্টের হামলার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে সেখান থেকে তাঁকে রেফার করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা হয়। গত সপ্তাহেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। নতুন করে জীবন ফিরে পাওয়ায় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে রমজান।
  • Link to this news (আজকাল)