• অঙ্কের প্রশ্ন সমাধান করা হচ্ছিল এআই অ্যাপ দিয়ে, ধরা পড়তেই পরীক্ষা বাতিল পড়ুয়ার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা। বিষয়টি অত্যন্ত সিরিয়াস। সেখানে উত্তর লিখতে কৃত্রিম মেধার অ্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা সেই চুরি শেষমেশ ধরেই ফেললেন পরীক্ষকরা। দক্ষিণ কলকাতার বদরতলার পরীক্ষার্থীকে এভাবেই ধরা হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মোট ১৯ জন পরীক্ষার্থী মোবাইল–সহ ধরা পড়েছে। আবার কয়েকজন পরীক্ষার্থী সরাসরি প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে প্রাইভেট টিউটরকে পাঠিয়ে দেয় বলেও জানা যাচ্ছে। এআই অ্যাপের ব্যবহার করে অঙ্কে ছাঁকা নম্বর তুলতে চেয়েছিল ওই পরীক্ষার্থী বলে অভিযোগ। ওই পরীক্ষার্থীর সমস্ত পরীক্ষা ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। এমনকী মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগে আরও পাঁচ পড়ুয়ার বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।

    এদিকে এআই আগামী দিনের চলার পথে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোটা দুনিয়াই এখন তা নিয়ে চর্চা করছে। এআই মানুষের কাজ আরও সহজ করে দেবে বলে চর্চা হচ্ছে। এবার সেটাই প্রয়োগ করা হল পরীক্ষাতে। এক পরীক্ষার্থী মোবাইলে এআই অ্যাপে তার অঙ্কের প্রশ্ন দিয়ে উত্তর লিখে নিচ্ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ে ধরা। কিন্তু ধরা পড়েই গেল। তার জেরে পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট ১৯ জন মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে ধরা পড়েছে। একজন আবার ধরা পড়েছে স্মার্ট ওয়াচ নিয়ে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল বা কোনও বৈদ্যুতিন গ্যাজেট ব্যবহার করা হলে পরীক্ষার্থীর সমস্ত পরীক্ষা বাতিল হবে।


    অন্যদিকে সেই পথেই হাঁটল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। একাধিক স্কুল থেকে ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগ এবং এআই ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল। সুতরাং যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠল তাদের সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করা হল। তার জেরে একটা বছর নষ্ট হচ্ছে। দক্ষিণ কলকাতা বদরতলা হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীদের বটতলা হাইস্কুলে সিট পড়ে। তাদের একজন অঙ্কের প্রশ্নপত্র লিখে পাঠাচ্ছিল আর উত্তর দিচ্ছিল কৃত্রিম মেধাযুক্ত অ্যাপ। সুতরাং চটপট অঙ্ক হয়ে যাচ্ছিল। ৬টি মোবাইল ধরা পড়েছে। যারা মোবাইলের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ। তার মধ্যে তিনজন প্রশ্নের ছবি তুলে প্রাইভেট টিউটরকে পাঠায় বলেও অভিযোগ। বাকি দু’‌জনের মধ্যে একজন সিনিয়রকে প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছিল। আর একজন তার বন্ধুর বান্ধবীকে পাঠায়।

    এছাড়া এই ঘটনার কথা ওই পড়ুয়াদের অভিভাবকরা জানতেনই না। এভাবে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে যাওয়ার ছক কষা হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষক–শিক্ষিকাদের চোখ তা এড়ায়নি। ফলে ধরা পড়ে যাওয়ায় গোটা পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় এমন টুকলি করার মানসিকতায় চিন্তিত শিক্ষক–শিক্ষিকারা। আসলে এইসব পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত সকলে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মোট ১৯ জন পরীক্ষার্থীর মোবাইল–সহ ধরা পড়েছে। আর একজন স্মার্টওয়াচ–সহ ধরা পড়েছে। এদের প্রত্যেকের এই বছরের জন্য পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)