রামপুরহাটে স্বাধীনতা সংগ্রামী ব্রজ-দুর্গার গ্রামে পাম্প বসানোর আশ্বাস অনুব্রতর
বর্তমান | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: স্বাধীনতা সংগ্রামী ব্রজ-দুর্গার স্বপ্ন বাস্তবায়ন খুব শীঘ্রই করা হবে। শনিবার বিকেলে রামপুরহাটের শালবাদায় ৩৩ তম ব্রজ-দুর্গা সাংস্কৃতিক মেলার উদ্বোধনে এসে এমনই আশ্বাস দিলেন এসআরডিএর চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল।
রামপুরহাটের ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া ঠাকুরপুরা গ্রামে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। তাঁদের পূর্বপুরুষরা পাথরময় এলাকায় চাষ শুরু করেছিলেন। সেইসময় ইংরেজ ও জমিদারদের শোষণে এলাকার কৃষকরা জর্জরিত হতেন। ১৯২৫সালে সুলঙ্গা গ্রামের ব্রজ মুর্মু ও ঠাকুরপুরা গ্রামের দুর্গা মুর্মু এলাকায় সুষ্ঠুভাবে চাষের ব্যবস্থা করতে আন্দোলন করেন। তাঁরা ঝাড়খণ্ডের কল্যাণপুর থেকে বয়ে আসা ভুটকা নদীর উপর একটি কাঁচা বাঁধ নির্মাণ করেন। ১৯৯০সালে উপজাতি কল্যাণ দপ্তর বাঁধটি নির্মাণের জন্য প্রায় সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। শিলান্যাসও হয়। দুই প্রতিবাদী ব্রজ ও দুর্গার নামে বাঁধটির নামকরণ হয়। কিন্তু কাজ সমাপ্ত না করেই বাঁধটির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের কয়েকদিনের মধ্যেই ট্রান্সফর্মার সহ পাম্প চুরি হয়ে যায়। বছর দেড়েক আগে বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সরকারি অর্থে নতুন করে পাম্পঘর করা হয়। তিনটি পাম্প বসে। সেখান থেকে দেড় কিমি দূরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্রামের ভিতরে জল ধরে রাখার জন্য পুকুর খনন করা হয়। তৈরি হয় একাধিক পাকা সেচনালা। কিন্তু কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। পাম্প চুরি হয়।
প্রতি বছর ব্রজদুর্গার স্মরণে ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি উদ্যোগে মেলা হয়। এবছরও বসেছে মেলা। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেলার অন্যতম উদ্যোক্তা পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ কিস্কু দু’টি পাম্প পুনরায় বসিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে প্রশাসনিক উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানান। বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবিষয়ে অনুব্রতকে তৎপর হওয়ার জন্য বলেন। অনুব্রতবাবু বলেন, দু’টি পাম্পের ব্যবস্থা আমি করে দেব। কিন্তু ফের যাতে চুরি না হয় সেই দায়িত্ব এলাকাবাসীকে নিতে হবে।