সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: জল অপচয় না করার বোর্ড লাগানো। কিন্তু ট্যাপে পানীয় জল নেই। হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে এখন পানীয় জলের হাহাকার। তার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব রোগীর পরিজনরা। অভিযোগ, রোগী ও পরিজনদের জন্য পরিস্রুত পানীয় জলের ফিল্টারের ব্যবস্থা থাকলেও বিকল হয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। এমন পরিস্থিতিতে রোগীর পরিজনেরা হাসপাতালে এসে পানীয় জল না পেয়ে সমাজমাধ্যমে সেই ছবি পোস্ট করতেই শুরু হয়েছে চর্চা। হাসপাতালে আসা রোগী ও পরিজনদের অভিযোগ, জরুরি বিভাগের সামনে একটি করে মাৰ্ক-টু টিউবওয়েল ও পরিস্রুত পানীয় জলের ফিল্টার অকেজো হয়ে রয়েছে। ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে জেলা পরিষদের প্রায় ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দে আউটডোরের সামনে সোলার পরিস্রুত পানীয় জলের রিজার্ভার তৈরি হলেও সেটি এখন বিকল। জলের বোতল কিনে খেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। হাসপাতালে রিজার্ভারের জল দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে রোগীদের। রোগীর পরিজন উমর ফারুক সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে দাবি তুলেছেন, রোগী ও পরিজনদের জন্য দ্রুত বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হোক। এবিষয়ে হরিরামপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিরুদ্ধ চৌধুরী বলেন, সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবির বিষয়টি জানি। হাসপাতাল সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু বলার বিষয়ে নিষেধ রয়েছে। হরিরামপুর হাসপাতালের পানীয় জল পরিষেবা বেহাল হওয়া নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস। হাসপাতালে সামান্য জলের পরিষেবা স্বাভাবিক করতেও আসরে নামতে হচ্ছে তাঁকে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, হাসপাতালে জলের সমস্যা প্রসঙ্গে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কিছুই জানাননি। সোমবারের মধ্যে দায়িত্ব নিয়ে সমস্যার সমাধান করে দেব। হরিরামপুর ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জিমি আমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।