• সন্ধ্যা থেকে পরিত্যক্ত ঘরে মুমূর্ষু রোগী, ২০ ঘণ্টা পর বেডে তুলল বারুইপুর হাসপাতাল  
    বর্তমান | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ফের অমানবিক ছবি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে হাসপাতালের ভিতর একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির একতলায় সিঁড়ির নীচে পড়ে মুমূর্ষু এক রোগী। কথা বলার শক্তি পর্যন্ত নেই তাঁর। পাশে পড়ে নোংরা চাদর, কাপড়চোপড়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত এ অবস্থায় পড়ে ছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ খবর জানতেই পারেনি। বিষয়টি প্রথমে জানতে পারে সংবাদমাধ্যম। তাদের কাছ থেকে খবর পায় হাসপাতাল। তারপরে তাদের টনক নড়ে। অসুস্থ মানুষটিকে উদ্ধার করে মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি করে। মহিলা কথা বলতে পারছেন না। ফলে পরিচয় এখনও পর্যন্ত অজানা।


    এত বড় একটি ঘটনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে কেন আসেনি কেন? এ ঘটনার পর এ প্রশ্ন তুলেছে অন্যান্য রোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা। যদিও হাসপাতালের ফ্যাকাল্টি ম্যানেজার শ্যামল চক্রবর্তী বলেছেন, ‘ওই রোগীর পরিবারই ওঁকে ওখানে ফেলে রেখে গিয়েছিল। আমরা জানতে পেরে হাসপাতালের কর্মীদের সরিয়ে আনতে বলেছিলাম। কিন্তু তাঁরা দেরি করে। ফলে একটু অসুবিধা হয়। এই কারণে কর্মীদের শোকজ’ও করা হয়েছে। রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তাঁর খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।’ স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য বক্তব্য, ‘এর আগেও এক অসহায় রোগীকে ওই বাড়িটির একতলায় ফেলে রাখা হয়েছিল। তিনি বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছিলেন। অসহায় রোগীদের প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এ আচরণ ঠিক নয়।’ হাসপাতালে আসা অন্যান্য রোগীর পরিবার বলেছে, ‘কেন হাসপাতাল আগে ব্যবস্থা নেয়নি। তাদের গাফিলতির জন্য গোটা রাত মৃত্যুকে শিয়রে নিয়ে থাকতে হয়েছে একজন অসুস্থ মানুষকে।’  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)