এই সময়: মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন স্মার্টফোন বা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢোকা রুখতে এ বার কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তবে সেই কড়াকড়ির মধ্যেও এ বার পরীক্ষার হলে প্রশ্নের উত্তর লিখতে এক পরীক্ষার্থী দ্বারস্থ হয়েছিল আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সি বা কৃত্রিম মেধাভিত্তিক (এআই) অ্যাপের।
এই অভিনব প্রথায় নকল করতে গিয়ে অবশ্য অঙ্ক পরীক্ষার দিনই ধরা পড়ে যায় ওই পরীক্ষার্থী। শনিবার ছিল ঐচ্ছিক বিষয়ের উপর মাধ্যমিকের শেষ পরীক্ষা।
পরীক্ষার শেষে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘এ বার রাজ্যজুড়ে সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৯টি মোবাইল ফোন ও একটি স্মার্ট ওয়াচ ধরা পড়েছে। সে জন্য ওই ২০ জনের সাতটি বিষয়ের সমস্ত পরীক্ষাই বাতিল করা হয়েছে। এই ১৯টি ফোনের মধ্যে একটি ফোনে আবার এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশ্নগুলোর উত্তরও পাওয়া গিয়েছে।’
পরীক্ষা শেষের পরই বিভিন্ন কেন্দ্রের তরফে পর্ষদের কাছে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের সমস্ত পরীক্ষা বাতিল ও রিপোর্টেড এগেইনস্টের (আরএ) কারণ–সহ রিপোর্ট জমা পড়েছে।
পরীক্ষার হলে ১৯টি ফোন ধরা পড়লেও প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে প্রশ্ন বাইরে পাঠানো ও সেখান থেকে উত্তর আনার চেষ্টা করেছিল ৬ জন পরীক্ষার্থী। সেটা তাদের মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে। পর্ষদ জানিয়েছে, কলকাতা বন্দর এলাকার মেটিয়াবুরুজের বদরতলা হাইস্কুলের এক পরীক্ষার্থীর সিট পড়েছিল বটতলা হাইস্কুলে। অঙ্ক পরীক্ষার দিন সে প্রশ্নের সঠিক উত্তর কষতে নিজের কাছে থাকা মোবাইলে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স ভিত্তিক একটি অ্যাপে প্রশ্ন পাঠিয়েছিল।
এই অ্যাপের মাধ্যমে তার কাছে হলে বসেই অঙ্কের নানা প্রশ্নের সমাধানও চলে এসেছিল। তবে পর্ষদ কর্তারা বলছেন, এর আগে প্রশ্নপত্র বিভিন্ন টিউটোরিয়াল হোম বা অন্যান্য শিক্ষকের কাছে পাঠানোর ঘটনার জানা গিয়েছে। কিন্তু প্রশ্নের ছবি তুলে নিজের কাছেই থাকা মোবাইলে কৃত্রিম মেধার কাছে উত্তর জানতে চাওয়ার চেষ্টা একেবারেই নতুন ও অভিনব।
রামানুজ বলেন, ‘মোবাইল ধরা পড়া ও বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মাধ্যমিকের ফল পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই বেরোবে। গত বছর ৭৪ দিনের মাথায় বেরিয়েছিল।’