• দিঘা পুরো চমকে দিচ্ছে, এ বার সৈকত শহরে গেলেই নজরে আসবে এই অভিনবত্ব...
    এই সময় | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সাত সকালে হুইসেল বাজিয়ে বাড়ি বাড়ি ময়লা নিতে আসা এখন শুধু শহরেই নয়, শহরতলি, মফস্বলেরও চেনা ছবি। কিন্তু তার পরও অনেকেই বাড়ির পাশের ড্রেনে, গলির মোড়ে ময়লা ফেলে নোংরা করেন। আর তাতে মশা মাছির উৎপাত, বাজে গন্ধ, দূষণে জর্জরিত জনজীবন। এ নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে এ বার দিঘায় অভিনব ছবি দেখা গেল। উদ্যোগে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। চেনা পরিচিত বাংলা গানের সুরে সচেতনতার শব্দ বসিয়ে মাইকে শুরু হয়েছে প্রচার।

    হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও শ্রাবন্তী মজুমদারের গাওয়া ‘আয় খুকু আয়’ গানের সুরে নতুন শব্দ বসিয়ে চলছে প্রচার। হুইসেলের বদলে অতি পরিচিত গানের সুরে পরিচ্ছন্নতার বার্তা দেওয়াই এর লক্ষ্য। গানে গানে অলিগলি পরিচ্ছন্ন রাখার অঙ্গীকারের আহ্বান জানাচ্ছে দিঘা-শঙ্করপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা ডিএসডিএ।

    সকাল হলেই সৈকত শহরের হোটেলে হোটেলে পৌঁছে যাচ্ছে আবর্জনা সংগ্রহের ভ্যান। সেখানেই বাজানো হচ্ছে সচেতনতামূলক এই গান। যা থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও পর্যটক উভয়ই সচেতন হবে বলে মনে করছে ডিএসডিএ।

    দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, ‘গানের সুরে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিএসডিএ-এর যে সব আবর্জনার গাড়ি রয়েছে, সব গাড়িতেই এই গান বাজানো হবে। ফলে একটি হোটেলে গাড়ি গেলে, তার পরের হোটেলও আবর্জনা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে পারবে। এ ছাড়াও গানের মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও পর্যটকদের।’

    এত দিন শুধু পর্যটনের মানচিত্রেই জ্বলজ্বল করত দিঘার নাম। আর মাস দু’য়েকের অপেক্ষা। এর পর আধ্যাত্মিক পর্যটনের মানচিত্রেও উঠে আসতে চলেছে দিঘা। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ৩০ এপ্রিল এই মন্দিরের উদ্বোধন। নিঃসন্দেহে এই মন্দির দিঘার ছবিকে পুরোপুরি বদলে দেবে। এখন যে ভিড় হয়, তা ছাপিয়ে যাবে বলেই মনে করছে প্রশাসন।

    মানুষের ভিড় মানেই, সেখানে পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ নজরদারির প্রয়োজন। কারণ, একটা বড় অংশের যত্রতত্র ময়লা ফেলে পরিবেশ নোংরা করার প্রবণতা রয়েছে। হোটেলগুলিও এ ক্ষেত্রে খুব পিছিয়ে নেই। সৈকত শহরে যাতে কোনও রকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ না তৈরি হয়, তাই ডিএসডিএ-এর এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।

    ডিএসডিএ-এর তরফে কলকাতার একটি সংস্থাকে দিয়ে ইতিমধ্যেই গান তৈরি করিয়ে চলছে প্রচার। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে গানে গানে এই আবর্জনা সংগ্রহের কাজ। ইতিমধ্যে পর্ষদের ১০টি গাড়িতে বাজানো এই গান। এ ছাড়াও সৈকত চত্বরে একাধিক ডিজিটাল বোর্ড লাগানো হয়েছে, যেখানে ভিডিও-এর মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের বিষয় নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সঙ্গে, যত্রতত্র ময়লা ফেললে জরিমানার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

  • Link to this news (এই সময়)