• গ্রেটার নেতার আমন্ত্রণে অভিষেকের ধন্যবাদবার্তা, নয়া সমীকরণে জল্পনা উত্তরের রাজনীতিতে
    এই সময় | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, কোচবিহার: বীর চিলা রায়ের জন্ম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করার জন্য ‘দ্য গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের’ নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বীর চিলা রায়ের ৫১৫–তম জন্ম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। এই আমন্ত্রণের জন্য দ্য গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রায়কে চিঠি লিখে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক।

    বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ নগেন রায়ের (অনন্ত মহারাজ) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নির্মল। গ্রেটার কোচবিহারের এই নেতাকে অভিষেক যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য নির্মলের প্রশংসা করেছেন অভিষেক। এই চিঠিতে বীর চিলা রায়ের ঐতিহাসিক অবদান, তাঁর সাহসিকতা, মূল্যবোধকে স্মরণ করেছেন অভিষেক।

    অনন্ত মহারাজের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নির্মল রায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে চিলা রায়ের জন্ম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করায় উত্তরবঙ্গে নতুন করে এক রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ তৃণমূলের একাংশের। যদিও অনন্ত মহারাজের বক্তব্য, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু বিশিষ্ট জনকে অনুষ্ঠানে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়ে তাঁর শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন।’

    বিজেপির সাংসদ হলেও অনন্ত মহারাজের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের সম্পর্ক এখন আর ভালো নয়। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছর কোচবিহার সফরে এসে অনন্ত মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর বিজেপির সঙ্গে অনন্তের দূরত্ব আরও বেড়েছে। সম্প্রতি চিলা রায়ের জন্ম জয়ন্তী প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকেও নিশানা করেছেন অনন্ত।

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিজেপির সঙ্গে অনন্তের দূরত্ব যত বাড়ছে, তত কাছাকাছি আসছে তৃণমূল। কোচবিহার তথা গোটা উত্তরবঙ্গে রাজবংশী ভোট একটা নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে। এতদিন এই ভোট একচেটিয়া পেয়ে এসেছে বিজেপি। কিন্তু শেষ লোকসভা ভোটে দেখা গিয়েছে, গেরুয়া শিবিরের রাজবংশী গড়ে ভালোই ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। যার জন্য কোচবিহার আসনটি ছিনিয়ে নেয় জোড়াফুল।

    জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার আসনেও রাজবংশী ভোট পেয়েছে তৃণমূল। এই প্রেক্ষাপটে ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের অঙ্ক মাথায় রেখে রাজবংশী ভোট নিজেদের ঝুলিতে টানতে এখন থেকেই ঘঁুটি সাজাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। এই সমীকরণের কারণেই সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া অনন্ত মহারাজের একটি অনুষ্ঠানের পুলিশ–প্রশাসনের তরফে দ্রুত অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করছেন অনেকে।

  • Link to this news (এই সময়)