• জাল ওষুধ নিয়ে তুমুল তরজা শুরু শাসক ও বিরোধীর
    এই সময় | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: হাওড়ার আমতায় বিপুল জাল ওষুধ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আমতার যে সংস্থার গোডাউন থেকে জাল ওষুধ উদ্ধার হয়েছে সেই সংস্থা বিহার থেকে ওই ওষুধ আমদানি করেছিল বলে ড্রাগ কন্ট্রোলের তদন্তে উঠে এসেছে।

    এই ওষুধ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছে বলেও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আমতার এই সংস্থা বিহার থেকে জাল ওষুধ আমদানি করায় সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ। বিহারের কিছু জায়গায় জাল ওষুধ তৈরি হচ্ছে বলে সে রাজ্যের প্রশাসনকে ওষুধ নির্মাতারা জানালেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি কীর্তির।

    দুর্গাপুরে একটি সভায় শনিবার কীর্তি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ফার্মা কোম্পানি করার, রিসার্চ করার লাইসেন্স দেয়। কেন্দ্র এমন সব সংস্থাকে লাইসেন্স দিয়েছে যার ফলে জাল ওষুধ তৈরি হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন। অনেকেই বলেছেন, জাল ওষুধ রুখতে হবে। কিন্তু কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করেনি।’

    ড্রাগ কন্ট্রোলের তদন্তে ভিন রাজ্য থেকে জাল ওষুধ পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও বঙ্গ–বিজেপি রাজ্যের তৃণমূল সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছে।

    বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আগেও মেয়াদ–উত্তীর্ণ ওষুধ হাসপাতালে সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছিল। যে রাজ্যে পিএইচডি জাল হয়, চাকরি খোলাবাজারে বিক্রি হয়, সেখানে জাল ওষুধ থাকবে না? এই রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে।’

    যদিও এনডিএ শাসিত বিহারে কী ভাবে জাল ওষুধের কারখানা তৈরি হয়েছে—তার উত্তর দেননি শমীক। বিহার ছাড়া উত্তর ভারতের আরও কয়েকটি রাজ্যে জাল ওষুধের কারখানা রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই রাজ্যগুলির প্রায় সবই এনডিএ–শাসিত।

  • Link to this news (এই সময়)