পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২-ব্লকের সাতগাছিয়ায় পুকুর সংস্কারের সময় উদ্ধার হলো একটি প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। জানা গিয়েছে, মূর্তিটি প্রায় ৩ ফুট লম্বা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে সাতগাছিয়া গ্রামের পদ্মপুকুর সংস্কারের কাজ চলছিল। সেখানে পুকুর সংস্কারের জন্য জেসিবি দিয়ে মাটি কাটার কাজ চলছিল। সেই সময়েই উদ্ধার হয় প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি। স্থানীয়দের দাবি, পাথরের মূর্তিটি আনুমানিক ৩ ফুট লম্বা। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পদ্মপুকুর পাড়ে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুকুরের থেকে বিষ্ণুমূর্তিটি তুলে ভালো করে পরিষ্কার করে, পাশের একটি এলাকায় রেখে পুজো-অর্চনা শুরু করে দেন গ্রামের বাসিন্দারা।
খবর ছড়িয়ে পরতেই দূরদূরান্তের গ্রাম খেকেও বাসিন্দারা এসে ভিড় জমান এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেমারি থানার সাতগাছিয়া ফাঁড়ির পুলিশ। মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাতগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিষ্ণুমূর্তিটি গ্রামে পাওয়া গিয়েছে। গ্রামেই ফিরিয়ে দেওয়া হোক মূর্তিটিকে। যদিও বিষয়টিতে সহমত হয়নি পুলিশ-প্রশাসন। মূর্তিটি কতদিনের পুরোনো? সেটির প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাস কী? তা জানতে মূর্তিটি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, দিন কয়েক আগেই হুগলির ব্যান্ডেল বিক্রমনগর হরনাথ নীরদা সুন্দরী ঘোষ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি বিষ্ণুমূর্তি। স্কুলে এসেছিলেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা ASI-এর সদস্যরা। খতিয়ে দেখেন বিষ্ণু মূর্তি ও উদ্ধারস্থল। তাঁদের দাবি ছিল, বহু মূল্যবান এই বিষ্ণুমূর্তি বেলে পাথরের তৈরি।