২০২৪-এর ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী ডাক্তারি ছাত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন ও মৃত্যুর অভিযোগ। তার এতদিন পরেও মেলেনি ডেথ সার্টিফিকেট। এমনটাই দাবি নির্যাতিতার মা-বাবার। ছয় মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও হাসপাতাল-পুরসভার টানাপোড়েনে ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পাননি বলে অভিযোগ নির্যাতিতার বাবা-মা।
অভিযোগ, মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। মৃত্যুর এক সপ্তাহের মধ্যে এই সার্টিফিকেট পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, শুরু থেকেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং কলকাতা পৌরসভার মধ্যে দায় চাপান-উতর চলছে। আর সেই কারণেই হাতে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না বলে তাঁরা দাবি করেন।
নির্যাতিতার মা-বাবার অভিযোগ, শুরুতে হাসপাতালের সুপার মৌখিকভাবে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলেও সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর লিখিত আবেদন করা হয়। তাতে লাভ হয়নি। পরে জানানো হয়, সার্টিফিকেট কলকাতা পুরসভার বরো-১ থেকে ইস্যু করতে হবে। কিন্তু বরো-১ জানায়, যেহেতু মৃত্যু আরজি কর চত্বরে হয়েছে, তাই তাদেরকেই সার্টিফিকেট ইস্যু করতে হবে।
শেষমেশ আরজি কর কর্তৃপক্ষ চার দিনের সময় চেয়ে বিশেষ অনুমতির কথা জানায়। তবে নির্যাতিতার বাবার দাবি, তিনি নিশ্চিত, এই সময়ের মধ্যেও সার্টিফিকেট ইস্যু হবে না। তিনি ফের অভিযোগ করেন, 'ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার পলি সমাদ্দার সেই সময় ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করেননি। এতে প্রশাসনিক গাফিলতির বিষয়টি স্পষ্ট।'
নির্যাতিতার বাবা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই একবার খোলা চিঠি ও দু'বার ইমেল মারফত প্রধানমন্ত্রীর দফতরে আবেদন জানানো হয়েছে। এখনও কোনও উত্তর আসেনি। তবে তিনি আশাবাদী, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন।
নির্যাতিতার মা-ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান বলে জানান। তিনি বলেন, 'মেয়ের মৃত্যুর তিন দিনের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে কোনও সাড়া মেলেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে নেই।'
রিপোর্টার : দীপক দেবনাথ