• শুধু বিলাসিতায় নয়, ধর্মকর্মেও দেদার খরচ করত ট্যাংরার দে পরিবার! দাবি রিপোর্টে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • শুধুমাত্র বিলাসবহুল জীবন যাপন নয়, ট্যাংরার দে পরিবারের সদস্যদের পুজো-আচ্চা, ধর্ম-কর্মেও খুব মন ছিল! বিশেষ করে বাড়ির ছোট কর্তা প্রসূন দে এবং বড় কর্তার স্ত্রী সুদেষ্ণার মধ্যে ঠাকুর দেবতার প্রতি প্রবল আস্থা ছিল! এমনটাই নাকি দাবি করেছেন দে বাড়ির পুরোহিত থেকে শুরু করে এলাকার একাধিক মন্দিরের পূজারীরা!

    জি ২৪ ঘণ্টা-র অনলাইন সংস্করণে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদন অনুসারে, বাড়িতে নিয়মিত পুজোপাঠ করাতেন দে পরিবারের সদস্যরা। তার জন্য একজন পারিবারিক পুরোহিত পর্যন্ত ছিলেন।

    সেই ব্যক্তির নাম দীপক চৌধুরী। যিনি এলাকায় 'বুলা ব্রাহ্মণ' নামেই অধিক পরিচিত। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দে বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তাঁর। ওই বাড়ির পুজো তিনিই করতেন। গত প্রায় একবছর ধরে এমনটাই ব্যবস্থা ছিল। শেষবার তিনি ওই বাড়িতে ঢোকেন গত সোমবার। তারপর তাঁর কাছে একজন কাজের লোককে দিয়ে খবর পাঠান বাড়ির ছোট কর্তা প্রসূন দে। পুরোহিতকে তিনি জানান - 'মঙ্গলবার আর পুজো করতে যেতে হবে না, একেবারে বুধবার গেলেই হবে'!

    প্রসঙ্গত, বুধবার সকালেই দে বাড়ি থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। তার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে ওই দিনই ভোররাতে বাইপাসে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছিল দে ভাইদের গাড়ি!

    সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যাচ্ছে, ট্যাংরা এলাকার একটি হনুমান মন্দিরে নিয়মিত যেতেন দে বাড়ির বড় বউ সুদেষ্ণা। মন্দিরের পুরোহিত দীনেশ পাঠক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই স্বামী ও সন্তানের মঙ্গল কামনায় মন্দিরে পুজো দিতেন তিনি। সরস্বতী পুজোর সময় শেষবারের জন্য সুদেষ্ণা ওই হনুমান মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন।

    অন্যদিকে, সুদেষ্ণার দেওর প্রসূন স্থানীয় একটি শীতলা মন্দির এবং একটি শনি মন্দিরে নিয়মিত যেতেন ও পুজো দিতেন। সংশ্লিষ্টদের দাবি, পুজো-আচ্চাতেও বিস্তর খরচ করতেন পরিবারের এই দুই সদস্য। পুজোর বিরাট আয়োজন করা থেকে প্রণামী দেওয়া - কোনও কিছুতেই খরচ করতে পিছপা হতেন না তাঁরা!

    এহেন দে পরিবারের সদস্যদের এমন ভয়ঙ্কর ও রহস্যময় পরিণতি দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন পাড়া-পড়শি থেকে শুরু করে এলাকার বিভিন্ন মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও।

    এদিকে, পুলিশ এখনও এই রহস্যের জট ছাড়ানোর পথে খুব বেশি দূর অগ্রসর হতে পারেনি বলেই দাবি সূত্রের। তাদের হাতে কিছু অনুমান ও তত্ত্ব আছে। কিন্তু, সেগুলি সঠিক কিনা, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে দে ভাইদের জেরা করা খুবই দরকার। এখন কবে পুলিশ সেই সুযোগ পায়, সেটাই দেখার।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)