'আমি তো মনে করি…,' বাংলায় এনআরসি নিয়ে বোমা ফাটালেন শুভেন্দু
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
এনআরসি নিয়ে ঢেউ অনেকটাই স্তিমিত হয়ে গিয়েছে। তবে ভুয়ো ভোটার নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নতুন করে। এসবের মধ্য়েই ফের এনআরসি নিয়ে দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিক রাজ্যের নজিরকেও হাজির করেন।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বেআইনি ভোটার রয়েছে। না হলে শাদ রাদির মতো জঙ্গি ভোট দিল কীভাবে? তিনি বলেন, উত্তরাখণ্ডে,গুজরাটে এনআরসি হয়েছে। মহারাষ্ট্র শুরু করেছে। এনডিএ শাসিত রাজ্যে এনআরসির কাজ চলেছে।
শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আমি তো মনে করি সমস্ত দল মিলে এনআরসির দাবি তোলা দরকার। আসুন না সবাই মিলে বলে… উত্তরাখণ্ড করেছে, গুজরাট করেছে, অন্য স্টেট করছে, মহারাষ্ট্র শুরু করেছে কাজ। আপনাকে আমি জিজ্ঞাসা করি শাদ রাডি ভোট দিল কীভাবে! হরিহরপাড়া থেকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ অসম, বাংলার পুলিশ নয়, সে দুবার ভোট দিল। বাংলাদেশের জঙ্গি সে দুবার ভোট দিল কীভাবে? স্বাভাবিকভাবে এই রাজ্যে অবৈধ ভোটার আছে। এখানে নির্বাচন কমিশনের কোনও ভূমিকা নেই।
এদিকে ভোটার তালিকায় একের পর এক ভুতুড়ে ভোটারের সন্ধান মিলছে। দক্ষিণ বঙ্গের ভোটার তালিকায় দেখা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের ভোটারের নাম। স্থানীয় লোকজনও চিনতে পারছেন না এরা কোথাকার। অথচ স্থানীয় ভোটার তালিকায় তাদের নাম রয়েছে।
একই ফোন নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে একাধিক ভোটারের নাম। আচমকাই বেড়ে গিয়েছে ভোটারের সংখ্য়া। কীভাবে এত ভোটার এলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনকী এনিয়ে স্থানীয় স্তরে ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে যারা ধরছেন তারা কেউ মুর্শিদাবাদের, কেউ শিলিগুড়ির কাছের বাসিন্দা।
এরপরই নানা প্রশ্ন উঠছে।
তবে এর আগেও এনআরসি নিয়ে নানা দাবি তুলেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।
তবে গত বছরের মার্চ মাসে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছিলেন, বিজেপির খেলা হচ্ছে হিন্দুতে হিন্দুতে ভাগ করে দেওয়া, মুসলিমে মুসলিমে ভাগ করে দেওয়া। বলুন আফগানিস্তান কী করে এল? মায়ানমার কেন এল না? এটা তো ভারতের বর্ডার। যেগুলো ভারতের বর্ডার সেগুলি হল না। সব কিন্তু রাষ্ট্রহীন হয়ে যাবে। এই ক্যা এনআরসির সঙ্গে যুক্ত মনে রাখবেন। ইয়ে পলিটিকাল খেলা। ইসকো বাদ চল আয়েগা এনআরসি। বলেছিলেন মমতা।
এর আগে সেই সময় বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, সিএএ-র সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই।… কাউকে দেশ থেকে বের করা হবে না।