Kolkata Tangra Case Update:হাসিখুশি মানুষ পরিবারের সকলেই। প্রত্যেক প্রতিবেশীর মুখেই এই কথা। কিন্তু কারও সঙ্গেই সেভাবে ‘মিশতেন’ না দে পরিবারের দুই ভাই। রাস্তায় দেখা হলে হাই, হ্যালো হত। কিন্তু কখনও বাড়িতে নিমন্ত্রণ করা বা বাড়ি গিয়ে আড্ডা দেওয়ার অভ্যাস ছিল না কারওরই। ট্যাংরায় দুই বধু ও এক কিশোরী খুনের কিনারা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে উঠে আসছে নানা তথ্য। দুই ভাইয়ের দাবি, আর্থিক অনটনের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা।হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা আগেই জানিয়েছিল, পাওনাদারদের হুমকির কথা। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এক ভাই নাকি জানিয়েছেন, বাড়ি এসে মেয়ে-বউদের নিয়ে হুমকি। কী ধরনের হুমকি সে সহজেই অনুমেয়। সম্প্রতিহিন্দুস্তান টাইমস বাংলা কথা বলল দে পরিবারের একাধিক প্রতিবেশীর সঙ্গে। তাদের মধ্যে এক প্রতিবেশী রাহুল ভট্টাচার্য জানিয়েছেন দুই ভাই সম্পর্কে কিছু বিশেষ তথ্য।
রাহুল ভট্টাচার্য প্রায় ২০ বছর ধরে ওই এলাকার বাসিন্দা। তাঁর শ্বশুর ছিলেন জেনারেল ফিজিশিয়ান। তিনি জীবিত থাকাকালীন নিয়মিত তাঁর কাছে চিকিৎসাসংক্রান্ত পরামর্শ নিতেন দে ব্রাদার্স। কখনও কারও শরীর খারাপ থাকলেই ফোন আসত। পরামর্শ চাইতেন দে বাড়ির সদস্যরা। রাহুলবাবুর কথায়, ‘শ্বশুরমশাই বেঁচে থাকাকালীন পারিবারিক সম্পর্ক বেশ ভালো ছিল।’ শুধু রাহুলবাবু নন, পাশের ফ্ল্যাটেই থাকেন দন্তরোগের এক চিকিৎসক। তিনিও জানালেন একই কথা— ‘কিছু হলেই ফোন করে পরামর্শ চাইতেন।’
বাড়িতে যাতায়াত ছিল? এর উত্তরে রাহুলবাবু জানান, ‘আমাদের পাড়ায় এই সংস্কৃতিটা আসলে নেই। এমনি রাস্তায় দেখা হলে দূর থেকে হাই, হ্যালো করা, হেসে মাথা নাড়া হয়। কিন্তু কারও বাড়ি গিয়ে আড্ডা দেওয়া বা গল্প করার চল নেই। ফলে ঘরের বা ব্যবসার ভিতরকার খবরও জানা সম্ভব ছিল না।’
পরিবারের মধ্যে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেছে বলেও মনে করতে পারছেন না রাহুলবাবু তাঁর কথায়, ‘স্বামী-স্ত্রী চারজনই বেশ ভালো মনের, ভালো স্বভাবের ছিলেন। তাদের মধ্যে কোনও অশান্তির কথা তো কখনও শুনিনি, দেখিওনি। ভালো পরিবার বলতে যা বোঝায়, তা-ই ছিলেন।’ কিন্তু এমন সুখী সুন্দর পরিবার দেনার দায়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসবেন, তা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে দুই দশকের প্রতিবেশীর।