• 'রত্নার মাথায়…', জীবনে বিশাল ভুল করেছেন শোভন, গোপন না করে বলেই ফেললেন এবার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • একদিকে শোভন- বৈশাখী। আর অপরদিকে রত্না চট্টোপাধ্য়ায়। বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়ে আইনি লড়াই তো চলছেই। সেই সঙ্গেই চলছে কোর্টের বাইরেও চরম তরজা। 

    বর্তমানে শোভনের আইনজীবী হলেন কল্যাণ চট্টোপাধ্য়ায়। রত্না দাবি করেন, কল্যাণ তাঁকে একটা সময় বলেছিলেন বৈশাখী বাজে। এদিকে রত্নার এই মন্তব্য কানে যেতেই চটেছেন শোভন চট্টোপাধ্য়ায়। এবার পালটা জবাব দিলেন শোভন। 

    টিভি ৯ বাংলাকে শোভন চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, বৈশাখীর শালীনতা, চলাফেরা কোনও কিছুতেই রত্না ধারে কাছে আসতে পারবে না। রত্নার নিজের আয়নার সামনে দাঁড়ানো উচিত। আমার বিয়ে ভাঙার জন্য দূর দূরান্ত পর্যন্ত বৈশাখীর সম্পর্ক নেই। 

    রত্না সম্পর্কে বলতে গিয়ে শোভন বলেন, কোন জায়গায় ড্রামা করেননি এটা দেখতে হবে। ওর বাড়ির কারোর শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। রত্না চট্টোপাধ্য়ায় সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই ভালো। মস্তিষ্কের সমস্যার জন্য বিদেশে চিকিৎসা করাতে যান। অথচ স্বামী হিসাবে জানতাম না। মস্তিষ্ক বিকৃতি তাঁর। আমার নয়। মিথ্যে কথা বলাটাই পেশাদারিত্ব রত্নার। বলেন শোভন। 

    শোভন বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে ভুল এই বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করা। ২০০৪-০৫ সাল থেকে আমার বৈবাহিক জীবন নেই। শোভন বলেন, আমাকে বংশের কুলাঙ্গার বলেছেন। মেরে আমার গাল ফাটিয়ে দেবে বলেছেন আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে। আমার বাড়ি বৈশাখীকে দিয়েছি। সেই বাড়িতে বসে এসব বলবে আমি চুপ করে থাকব? প্রশ্ন শোভনের। 

    শোভন বলেন, বৈশাখী ফোবিয়ায় ভোগেন রত্না। আদালতে কিছু সাক্ষীর নাম দিয়েছেন। যেসব কথা বলছে বাস্তবের সঙ্গে দূর দূরান্ত পর্যন্ত সম্পর্ক নেই। কল্যাণদা দীর্ঘদিনের পরিচিত। কল্যাণদা বৈশাখী সম্পর্কে বলবে একথা আমি বিশ্বাস করি না। 

    রত্না সম্পর্কে বিস্ফোরক শোভন। তিনি বলেন, আমরা লুকিয়ে পালাই না তো। কোথাও আমি গেলে বৈশাখী যায়। বৈশাখী গেলে আমি যাই। কীসের জন্য উনি হায়দরাবাদ, ব্যাঙ্কক সহ বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে বেড়ান। বলছেন শোভন। একের পর এক বিস্ফোরক দাবি শোভনের। 

    এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শোভন বলেছিলেন,  আমি স্বেচ্ছায় সব ছেড়ে এসেছি। …২২ বছরের অভিজ্ঞতায় বুঝলাম এক ছেলেধরা মহিলার সঙ্গে আবদ্ধ হয়েছি। সেদিনই মামলা করেছি। দুশ্চরিত্র অপবাদ দিতে বাধে নি। আপনি বৈশাখীকে ছেলেধরা বলছেন? বৈশাখী যেদিন স্বামীর সঙ্গে তার পছন্দ হয়নি, ছেড়ে চলে গিয়েছে, পরস্পরের থেকে দূরে চলে গিয়েছেন।… আপনি নিজে আয়নার দিকে তাকান।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)