• 'কলকাতার অবস্থা বিশাল খারাপ…ভাবছি চলে যাব!' ঢাকুরিয়ায় মহিলার হার ছিনতাই, আতঙ্ক!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ঢাকুরিয়ায় ভয়াবহ ছিনতাই। বাইক দাঁড় করিয়ে রেখে মহিলার হার ছিনতাই। একেবারে আতঙ্কের ঘটনা। 

    ওই মহিলার দাবি, তিনি রাস্তা দিয়ে আসছিলেন। সেই সময় বাইকে চেপে কয়েকজন আসে। সামনের ফ্ল্যাটের দিকে তাকাতে বলে। সেদিকে তাকাতেই তার হার টেনে ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতী। তিনজন ছিল একটা বাইকে। শনিবার বিকাল ৫টা নাগাদ এই ঘটনা। 

    এদিকে হারটি মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। এরপর এক দুষ্কৃতী তার দিকে আসতে থাকে। তখন মহিলা ভয় পেয়ে যান। ভাবছিলেন হয়তো তাকে অস্ত্রের কোপ মারা হতে পারে। এরপরই তিনি সরে যান। এক দুষ্কৃতী সোনার হারটি মাটি থেকে কুড়িয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। 

    গোটা ঘটনায় প্রচন্ড আতঙ্কিত ওই পরিবার। কলকাতায় থাকতে আর ভরসা নেই তাঁদের। 

    ওই মহিলার স্বামী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পুরীর প্রসাদ নিয়ে মাসির বাড়ি আসছিল আমার স্ত্রী। আমার স্ত্রীর সামনে এসে বাইক নিয়ে দাঁড়ায়। ফ্ল্যাটের দিকে আঙুল তুলে তাকাতে বলে। সেদিকে তাকাতেই হার ধরে টান দেয় । মাটিতে পড়ে গিয়েছিল হারটি। এরপর একজন স্ত্রীর দিকে চোখ বড় করে তাকায়। তারপর হারটি নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রচন্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ভাবছি বেঙ্গালুরুতে চলে যাব। এতটাই আতঙ্ক লাগছে। ছেলের ওখানে চলে যাব। 

    এদিকে ওই দম্পতির দাবি পুলিশের উপর তাদের ভরসা নেই। গোটা ঘটনা তারা পুলিশকে জানিয়েছেন। কিন্তু প্রচন্ড আতঙ্কের মধ্য়ে রয়েছেন তারা। 

    এদিকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, দমদমের পরে ফের ঢাকুরিয়া। 

    ওই মহিলা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, টানটা দেওয়ার পরে পুরো হারটা নিতে পারেনি। আমার সামনে এসে আঙুল দেখিয়ে চোখ রাঙিয়ে হারটা ছিনিয়ে নিল। আমি কোনও প্রতিবাদ করিনি। শুধুমাত্র আমি নিজেকে রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। আমি নিজেকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। ওদের কাছে হয়তো অস্ত্র রয়েছে। আমাকে কুপিয়ে দেবে। পুলিশের উপর কোনও বিশ্বাস আমার নেই। একেবারেই নয়। এত বড় অভয়া কাণ্ড হয়ে গেল। পুলিশের ভূমিকা সেখানে সাংঘাতিক ছিল। কী হল! ছাড় পেয়ে গেল। যাদের গেল তাদের গেল। কলকাতার অবস্থা এখন বিশাল খারাপ। ১০০ শতাংশ আনসেফ। সর্বদিক থেকে আমরা। এবিপি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তাঁরা। 

    কার্যত অসহায় অবস্থা। বিকেল বেলা, বাড়ির কাছাকাছি রাস্তা থেকে দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে হার ছিনতাই করে নিচ্ছে, তিনি বাধা দিতে ভরসা পাচ্ছেন না কারণ তাঁকে কুপিয়ে দিতে পারেন। আবার পুলিশের উপরেও আস্থা নেই। এ কোন কলকাতা!
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)