• সেবাশ্রয়ে অভিষেক, ছোট্ট আলতাফকে দেখেই এগিয়ে গেলেন, বাড়িয়ে দিলেন স্নেহের হাত...
    এই সময় | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • বজবজে সেবাশ্রয় স্বাস্থ্যশিবির ঘুরে দেখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সেখানে আবারও দেখা হয়ে গেল ৯ বছরের সেই ছোট্ট আলতাফ হোসেন ঘরামির সঙ্গে। দেখেই এক গাল হাসি ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের। প্রশ্ন করলেন, ‘কী রে শরীর কেমন? ঠিক আছিস? চিংড়ি মাছ খেয়েছিস?’ এই সেই আলতাফ, বাবার হাত ধরে প্রথম যে দিন সেবাশ্রয়ে গিয়েছিল— শ্যামবর্ণ, তেল ভর্তি চুল পেতে আঁচড়ানো, মুখ ভরা হাসি। কেউ দেখে বলবে না ও ছেলের হার্টের অসুখ।

    জন্ম থেকেই হার্টের সমস্যা আলতাফের। প্রথম দিন সেবাশ্রয়ে চেকআপ করাতে এলে, ডাক্তাররা বলেছিলেন, সার্জারি করাতে হবে। আলতাফের হার্টে একটা ছিদ্র ধরা পড়ে। এ দিকে শুনেই তো বাবার মুখ চুপসে যায়। সে যে অনেক টাকা, তা জোগাড়ের সামর্থ্য আলতাফের বাবার নেই।

    এলাকার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে যাওয়ার পরই তিনি দ্রুত ব্যবস্থা করতে বলেন। সিদ্ধান্ত হয়, ওই ছিদ্র যাতে সমস্যা না বাড়ায়, তার জন্য যা করার করে ফেলতে হবে। সেই মতো বজবজের জগন্নাথ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস হসপিটাল বা জেআইএমএস-এ আলতাফের জটিল অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর অভিষেক তাকে হাসপাতালে গিয়ে দেখেও আসেন। তার সঙ্গে কথা বলেন।

    রবিবার বজবজে সেবাশ্রয় ক্যাম্পে সেই আলতাফকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিল তার বাবা। জানান, ছেলে এখন অনেকটাই ভালো। অভিষেক আলতাফের বাবাকে আশ্বস্ত করেন, ছেলে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তিনি পাশেই আছেন।

    শুধু আলতাফ নয়, বজবজে সেবাশ্রয় ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে শিবিরে আসা রোগীদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন অভিষেক। শিশুদের পাশাপাশি অনেক বৃদ্ধও এসেছিলেন এ দিন। কেউ কেউ নিজের সমস্যার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। সন্তানের মতো তাঁদের পাশে থাকার ভরসা দেন সাংসদ, প্রয়োজন মতো সাহায্যের কথাও বলেন তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)