চাষের জন্য জল ছেড়েছে ডিভিসি। আর সেই জলে ভাসল হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের দু’টি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রায় হাজার বিঘা জমি। ধান ও আলু চাষিদের মাথায় চিন্তার হাত। এখন মরশুম। সেখানে এমন ঘটনায় আশঙ্কিত তাঁরা।
এই সময় ডিভিসি ফি বছরই জল ছাড়ে। বোরো চাষের জন্য এই জল ছাড়ে ডিভিসি। আর সেই জল বিভিন্ন খাল ধরে জমিতে পৌঁছয়। মুণ্ডেশ্বরী নদীর বিভিন্ন জায়গায় বাঁধও দেওয়া হয়। হুগলির বলাইচক গ্রামের চিংড়া খালের উপর বাঁধ দেওয়া হয়েছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ফলে এইসব জায়গায় এমনিতেই আগে থেকে জল জমেছিল। এর উপর ডিভিসি নতুন করে জল ছাড়ায় বিপত্তি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ডিভিসির ছাড়া জল বলাইচকের চিংড়া খালের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উদয়নারায়ণপুরের পাঁচারুল গ্রামপঞ্চায়েতের সুবল চক এবং দেবীপুর গ্রামপঞ্চায়েতের উত্তর মানশ্রী ও আমবাগান এলাকায় ঢুকে পড়ে। দু’টি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রায় ৭০০ বিঘা আলু চাষের জমি, ১৫০ বিঘা বোরো ধান চাষের জমি জলের তলায় চলে যায়।
স্থানীয় চাষিদের বক্তব্য, এমনিতেই চাষের জমি জলের তলায় চলে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। এরপর যদি জলস্তর আরও বেড়ে যায়, ঘুরে দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে না। উদয়নারায়ণপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্যাণ গায়েনের বক্তব্য, ২০২৪ সালে বন্যায় বলাইচক গ্রামের আশ্রমগোঁড়ার কাছে ২৫০ মিটার নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সে বাঁধ সংস্কার হয়নি। তিনি জানান, আপাতত জেলা ও ব্লক প্রশাসনের তরফে থেকে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের উদ্ধার হওয়া আলু সরকারি মূল্যে সুফল বাংলার মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে নেওয়া হবে।