জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বছর ঘুরলেই রাজ্যে নির্বাচন। দলে বিশ্বাঘাতকদের এবার 'একঘরে' করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। বিতর্ক তুঙ্গে।
গতকাল, শনিবার তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে অরূপ বলেন, 'ভোটের সময়ে অনেক বেমাইন বিশ্বাসঘাতক আছে, যাঁরা তৃণমূলের ছাতার তলায় থেকে, নির্বাচনে আগে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার সম্ভাবনা থাকে। নজর রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, ভোটের আগে যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গুজুর গুজুর, ফুসুর ফুসুর করতে যাবে, তাঁদের একঘরে করে দেবেন'।
বাঁকুড়ার প্রাক্তন সাংসদ, বিজেপি নেতা সুভাষ সরকারের পাল্টা কটাক্ষ, 'বাঁকুড়ার সাংসদ ছাব্বিশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের দলের সাংগঠনিক বৈঠকে বলছেন, দলের মধ্য়ে অনেকে অন্তর্ঘাত করার কথা ভাবছেন! তারপর আবার শাসানি দিচ্ছেন, তাঁদেরকে একঘরে করে দেওয়ার। অদ্ভূত নিদান! তৃণমূল দলে টাকা পয়সার ভাগাভাগিটা এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে, যে নিজেদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে, দলের প্রতি সমর্পণ মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে'।
নিজের বক্তব্য়ে অবশ্য় এখনও অনড় তৃণমূল সাংসদ। এদিন তিনি বলেন, 'দলটা করতে হলে, একটা দল করতে হবে। আগে তৃণমূল করব, আর ভোটের সময়ে টিকিট পাব না, গুজুর গুজুর, ফুসুর করব, চলে যাও। থাকার দরকার নেই'। বেইমান কাদের বললেন? সাংসদের সোজাসাপ্টা জবাব, যাঁদের বেইমানি করে, তাঁদের বললাম। ইমানরা বেইমানি করার সাহস পাবে না, এগুলি না বললে অসুবিধা আছে'। দলের কি তাঁরা আছেন? অরূপ বলেন, 'থাকতে পারে, বলা যায় কি! সতর্ক করে দিলাম কর্মীদের, ভোটারদের'।