প্রদ্যুত দাস: সামান্য চা-মুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে মা ও দুই ভাইয়ের মধ্যে বচসা। মাকে খুন! দাদাকে খুনের চেষ্টা। রক্তাক্ত অবস্থায় আহত দাদা হাসপাতালে। গ্রেফতার অভিযুক্ত ছেলে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ি দোমহানি এলাকায়। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমস্ত এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন থেকেই পারিবারিক সমস্যা ছিল। খুনি ভাইয়ের দাবি, দাদাকে বেশি ভালোবাসত মা, ভাইকে ভালোবাসেই না, এই নিয়েই দাদা-ভাইয়ের ভিতরে একটি ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছিল। রবিবার তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল বলে জানা যায়। এদিন দুপুর ১ টা নাগাদ ওই পরিবারে সকলে খাওয়া-দাওয়ার পর বচসার শুরু হয়।
পরবর্তীতে বাড়ির ভিতরে আচমকা শ্বাসনালী কেটে খুন করে মাকে বলে অভিযোগ। এদিন আব্দুল মোদের কাছে ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। চা, মুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব। পরবর্তীতে ছোট ভাই বাপি রায় দাদা দিলীপ রায় কে মাথায় আঘাত করে, পরবর্তীতে কেন দাদাকে আগে খেতে দিল চা, মুড়ি এই নিয়েই দ্বন্দ্ব। পরবর্তীতে, মাকেও ধারাল অস্ত্র দিয়ে প্রথমে কোপাতে শুরু করে পরে তার গলায় শ্বাসনালী কেটে দেয়। তড়িঘড়ি গুরুতর আহত অবস্থায় দিলীপ এবং তাঁর মা সুনিতিকে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে, চিকিৎসকেরা সুনীতি রায় কে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এবং বড় ছেলে দিলীপ রায় কে গুরুতর আহত অবস্থায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এই ব্যাপারে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস বাপি রায় কে গ্রেফতার করে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস ওই বাড়িটি তদন্তের কারণে সিল করে দিয়েছে। থমথমে রয়েছে সমস্ত এলাকা।