রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ফের দুটি সমবায় সমিতির ভোটে ধরাশায়ী বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ১ নম্বর ব্লকের জলিগোপীনাথপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ও রামনগর ১ নম্বর ব্লকের দুবলাবাড়ি টেংরামারি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জয়জয়কার তৃণমূল প্রার্থীদের।
রবিবার ভগবানপুরের জলিগোপীনাথপুর সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির মোট ১২ টি আসনের নির্বাচন হয়। ১২টি আসনের মধ্যে ১০ টি আসন দখল করে শাসকদল । বাকি ২ টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি ও সিপিএমের জোট প্রার্থীরা। মোট ভোটার ছিল ৬৫৬। ভোট পড়েছে ৫৩৮ টি। সমবায় নির্বাচনে জয়লাভ করার পরে বাজি ফাটিয়ে সবুজ আবির মাখিয়ে উল্লাসে মাতেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভগবানপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুপ সুন্দর পণ্ডা বলেন, “এই সমবায়ে দীর্ঘদিন নির্বাচন হয়নি। এবার বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে সিপিএম ও বিজেপি ছদ্মনামে নির্বাচনে লড়াই করেছিল সেই প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছে। এই জয় থেকেই এটা প্রমাণ হয় যে, মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আছে। উন্নয়নের সঙ্গে আছে।”
অপরদিকে, রামনগরের দুবলাবাড়ি টেংরামারি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ৯টি পরিচালন সমিতির আসনে নির্বাচন হয়। এদিন সবকটি আসনেই বিরোধী বিজেপিকে পরাজিত করে তৃণমূল জয়লাভ করে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি বহিরাগতদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে এসে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। পরে রামনগর থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পাশাপাশি শনিবার খেজুরি দুই ব্লকের খেজুরি কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের নির্বাচনে বিপুল জয় পেল বিজেপি। এই সমিতির মোট ৯টি আসন। আর এই ৯ আসনেই কার্যত শাসকদল তৃণমূলকে উড়িয়ে খেজুরি ২ ব্লকের এই সমবায় দখল করে পদ্মশিবির।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, “বিজেপি সমবায় ভোট নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে না। মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে নেই এটা এটা প্রমাণ দিয়েছেন মানুষ। তাই সমবায় নির্বাচনেও তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে ভোট করাতে হচ্ছে।” কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি পীযূষ কান্তি পণ্ডা বলেন, “মানুষ তৃণমূলের উন্নয়নের সঙ্গে আছেন। এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। এবারও সেই প্রমাণ দিলেন সাধারণ মানুষ।”