সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্যাংরা কাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য। উঠে আসছে জ্যোতিষশাস্ত্রের তথ্যও। জানা যাচ্ছে, দে পরিবারের বড় ছেলে প্রণয় নাকি শখের জ্যোতিষ ছিলেন। বহু মানুষ তাঁর কাছে হাত দেখাতে আসতেন। তবে কি এই মৃত্যুর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্রও? উত্তর এখনও অজানা। এদিকে দে পরিবারের দীর্ঘদিনের পুরোহিত গোটা ঘটনায় রীতিমতো বিষ্মিত। ভাবতেই পারছেন এমনটাও ঘটতে পারে।
আপাতদৃষ্টিতে ধনী পরিবার। বিলাসবহুল বাড়ি, দামী গাড়ি, কী নেই! অন্তত আশপাশের লোকেরা এককথায় দে পরিবারকে বিত্তশালী বলেই জানতেন ট্যাংরা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত। অর্থের অভাব যে কখন দে পরিবারের ভীত নড়বড়ে করে দিয়েছিল, বাইরে থেকে তা বুঝতে পারেননি কেউ। তিনজনের দেহ উদ্ধার ও সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সবটা প্রকাশ্যে আসতেই দে পরিবারের পরিচিতরা রীতিমতো আকাশ থেকে পড়ছেন। একই পরিস্থিতি দে পরিবারের দীর্ঘদিনের পুরোহিতের। তিনি জানিয়েছেন, এককথায় ভালো মানুষ ছিলেন ওই বাড়ির সকল সদস্য। নিয়মিত তিনি পুজো করতে যেতেন। শেষ গিয়েছিলেন গত সোমবার। মঙ্গলবার যাওয়ার কথা থাকলেও লোক পাঠিয়ে বারণ করে দেওয়া হয়। আগেই বুধবার যেতে বারণ করা ছিল। ফলে ওইদিন যাননি তিনি। তারপরই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা।
এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, বরাবরই জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি আকর্ষণ ছিল প্রণয়ের। এই বিষয়ে রীতিমতো চর্চা করতেন তিনি। অনেকেই বাড়িতে এসে তাঁর কাছে হাতও দেখাতেন। তবে কি নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়েও জ্য়োতিষশাস্ত্রের উপর ভরসা করেছিল দে পরিবার? তা মেনেই কি আত্মহত্যার কৌশল ঠিক করা হয়েছিল? এরকম বহু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।