• শিলিগুড়ির হ্যাপি স্ট্রিটে দেদার খুশির আয়োজন, হাসি-মজায় মেতে আট থেকে আশি
    এই সময় | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • চারিদিকে বেলুনের ছড়াছড়ি। উড়ছে বাবল। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের মুখে চওড়া হাসি। কেউ ক্যানভাসে রং করছেন তো কেউ বাচ্চাদের নিয়ে ম্যাসকটের সঙ্গে সেলফিতে মজেছেন। রবিবার সকাল থেকেই এই দৃশ্য দেখল শিলিগুড়ি। দার্জিলিং জেলা প্রশাসন, শিলিগুড়ি পুরসভা এবং শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল হিমাল তরাই ডুয়ার্স ফেস্টিভালের। চলতি বছরেই প্রথম এই ধরনের আয়োজন করা হয়।

    এই উৎসবের অঙ্গ হিসেবে শিলিগুড়ির সেবক মোড় থেকে এয়ারভিউ মোড় পর্যন্ত হিলকার্ট রোডের একটি লেনকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ওই লেনেরই নাম দেওয়া হয়েছে হ্যাপি স্ট্রিট। সেখানে কার্যত এবং আক্ষরিক অর্থেই ‘খুশির সীমা নাই ’। ছোট থেকে বুড়ো সবার জন্যই দেদার মজা এবং আনন্দের আয়োজন। এই ‘ হ্যাপি স্ট্রিট’ সব অর্থেই পরিণত হয় খুশির রাস্তা বা ‘হ্যাপি স্ট্রিটে’। পুতুল নাচ থেকে শুরু করে মাটির সামগ্রী , রাজস্থানের ট্রাডিশনাল নাচ,পাঞ্জাবের ভাংরা, স্টেজ সব মিলিয়ে মিনি ভারতবর্ষের রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল শিলিগুড়ির এই রাস্তাকে।

    কিন্তু কী কারণে এই উৎসব? এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন দার্জিলিং-এর জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল। তিনি জানান, দার্জিলিং জেলায় যে সমস্ত বৈচিত্র্য রয়েছে তা তুলে ধরার জন্য প্রথমবারের জন্য হিমাল তরাই ডুয়ার্স ফেস্টিভালের আয়োজন করা হয়েছে ।

    এই হ্যাপি স্ট্রিটে ছোট বাচ্চাদের মনোরঞ্জনের জন্যে ছিল একাধিক খেলনা। বসে আঁকো প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বাংলা,বিহার,পাঞ্জাবের পাশাপাশি আদিবাসী ও রাজবংশী ট্র‍্যাডিশনাল নাচের আয়োজন ছিল। সেখানে দিনভর চলেছে লাইভ কুইজ অনুষ্ঠান। এয়ারভিউ মোড়ে মূল মঞ্চের কাছেই আয়োজন করা হয়েছিল শিশুদের জন্যে হামাগুড়ি প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠানের সাফল্য এবং প্রচার এতটাই বেশি ছিল পাঞ্জাবের পর্যটক দার্জিলিং যাওয়ার আগে সুকনা থেকেই গাড়ি ঘুরিয়ে সোজা চলে আসেন হ্যাপিস্ট্রিটে। নিজের রাজ্যের নাচ দেখতে পেয়ে তিনিও মেতে ওঠেন। হ্যাপি স্ট্রিটে ছিল বিভিন্ন খাবারের স্টলও। সন্ধ্যার পর ব্যান্ডের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের কথা মাথায় রেখে এলইডি স্ক্রিনও লাগানো হয়েছিল হ্যাপি স্ট্রিটে ।

  • Link to this news (এই সময়)