সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হল শিশুতীর্থ স্কুলে
বর্তমান | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শ্যামল পাল, বাগডোগরা: শিবমন্দির চৈতন্যপুর শিশুতীর্থ শিক্ষাপ্রসার সমিতি পরিচালিত শিশুতীর্থ স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হল রবিবার। ১৯৭৬ সালের ১৭ জানুয়ারি মাত্র দুই জন পড়ুয়া নিয়ে ফাঁসিদেওয়া মোড়ে একটি কাঠের দোতলা বাড়িতে এই স্কুলের পথ চলা শুরু। গুঁটি গুঁটি পায়ে একের পর এক উন্নতি এই স্কুলের সাফল্য এনেছে। রবিবার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে নানান অনুষ্ঠান হয় স্কুলে।
সকালে শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন স্কুলে ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষিকা ও প্রাক্তনীরা। বর্ণাঢ্য মিছিল স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শিবমন্দির বিডিও অফিস পর্যন্ত গিয়ে ফের স্কুল ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। এরপর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পদ্মশ্রী প্রাপক কবি-সাহিত্যিক নগেন্দ্রনাথ রায়। বিশেষ অতিথিদের বরণের পর এই স্কুল সম্পর্কে একেএকে বক্তব্য রাখেন অতিথিরা। রবীন্দ্রসঙ্গীত, আদিবাসী নৃত্য সহ বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। স্কুল তৈরির সময় ভ্যানে করে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে পৌঁছে দিতেন চুবক সিংহ। এদিন স্কুলের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে তাঁকে সংবর্ধনা দিয়ে বিশেষ অতিথির আসনে বসায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
দুই জন পড়ুয়া ছয় জন শিক্ষিকা নিয়ে এই স্কুল শুরু হলেও বর্তমানে প্রচুর ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী রয়েছেন। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কোহেলি দত্ত, পরিচলান সমিতির সম্পাদক পরেশচন্দ্র রায় ও সহ সম্পাদক পিন্টু ভৌমিক জানান, শিবমন্দির তথা মাটিগাড়াবাসীর অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই স্কুলের সঙ্গে। ধীরে ধীরে বহু উন্নতি হয়েছে স্কুলে। পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ, গান, অঙ্কন, আবৃত্তির ক্লাস শিশুদের নিয়মিত করানো হয়। খেলাধুলোর জন্য উদ্যান তৈরি করা হয়েছে। এখন পড়ুয়াদের স্কুলে আসার জন্য ছোট গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী দিনে ডিজিটাল ক্লাসরুম তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আগামী দিনে আরও উন্নতি ও শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য নানান ধরনের উদ্যোগ ধাপে ধাপে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।