• তরুণ প্রজন্ম কেন মুখ ফিরিয়েছে, সম্মেলনে আত্মসমীক্ষায় সিপিএম
    বর্তমান | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্য সম্মেলনের প্রথম দিন পলিটব্যুরো কো-অর্ডিনেটর প্রকাশ কারাত তরুণদের দলে আনার ক্ষেত্রে খামতির কথা তুলে ধরেছিলেন। ২৭তম সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বিদায়ী রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সেকথা মেনেই নিলেন। তিনি বলেন, ভারতের ৬৫ শতাংশ জনগণ তরুণ। তার প্রতিফলন পার্টিতেও থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। গতবার তরুণ-মহিলা দু’পক্ষের কথা বলা হয়েছিল। এবার শুধু তরুণের কথা বলা হয়েছে।


    শনিবার থেকে ডানকুনিতে শুরু হয়েছে সিপিএমের ২৭তম রাজ্য সম্মেলন। আজ, সোমবার রাজ্য সম্মেলনের মধ্যেই একটি বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্য, দেশ ও দলের ভবিষ্যত্ নিয়ে আলোচনা হবে। সেলিম ডানকুনিতে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, রাজ্য সম্মেলনের মধ্যে এই প্রথম এরকম বিশেষ অধিবেশন হতে চলেছে। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন দুপুর পর্যন্ত ১৩টি প্রস্তাব পেশ হয়েছে। তার মধ্যে আদিবাসীদের অধিকার, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষক বিরোধী নীতি প্রভৃতি প্রস্তাব রয়েছে। তরুণদের দলে আনার প্রসঙ্গে সেলিম আরও বলেন, অনেকে বলেন আমাদের দলে নেওয়ার পদ্ধতিটা কঠিন। মিসড কল দিয়ে হয় না। কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ম এটাই। অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, গোটা প্রক্রিয়া মানতে গিয়ে দুর্বলতা থেকে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের আরও যত্নবান হতে হবে। এদিন তিনি বলেন, সাংগঠনিক দুর্বলতা কিছুটা কেটেছে, আরও কাটাতে হবে। 


    সম্মেলন কক্ষের বাইরে স্বভাবতই ছিল গাড়ির লম্বা সারি। এক সময় সেখানে নীল বাতির গাড়িতে ছয়লাপ থাকত। কিন্তু এবার শুধুই ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের জন্য নীল বাতির গাড়ি এসেছে। দূর থেকে লাল বোর্ডে চেয়ারম্যান লেখা গাড়ি দেখে অনেকেরই প্রশ্ন, ইনি কে? আসলে তাহেরপুর মিউনিসিপালিটি এখনও বামেদের দখলে। সেকথাই ভুলেছিলেন অনেকে। উত্তমানন্দ দাস এসেছিলেন ওই গাড়িতে। এদিনও খাওয়া দাওয়ায় খামতি রাখেনি সিপিএম। দুপুরে কাতলার ঝোল, আলু পোস্তর পর বিকেলে ছিল ভেটকির ফিস ফ্রাই। একসময় নবান্নতে ফিস ফ্রাই খাওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল সিপিএমকে। সম্মেলনেও ঘুরে ফিরে এল সেই খাদ্য। সন্ধ্যায় ফ্রাইয়ে কামড় দিয়েই চলল বামপন্থার পুনর্জাগরণ নিয়ে তাত্ত্বিক আলোচনা।     
  • Link to this news (বর্তমান)