গত অর্থবর্ষে ৭ প্রকল্পে ৭৫ কোটি ডলার মার্কিন অনুদান, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট
বর্তমান | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নয়াদিল্লি: আমেরিকার ‘আর্থিক অনুদানে’র সুবিধা কারা পেয়েছে, তা নিয়ে ভারতে রাজনৈতিক তরজা চরমে। নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে ওই টাকা ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, তা নিয়েও বিতর্ক চলছে। মোদি বিরোধী কার্যকলাপের জন্য কংগ্রেস বিদেশি অনুদান পেয়েছে বলে দাবি বিজেপির। এর মাঝেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, শুধুমাত্র ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে মোট সাতটি প্রকল্পে টাকা দিয়েছে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা ইউএস-এইড। সম্মিলিতভাবে এই অর্থের পরিমাণ ৭৫ কোটি মার্কিন ডলার। ওই প্রকল্পগুলিতে ইউএস-এইডের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার যৌথভাবে কাজ করেছে। যদিও ভারতে ভোটের হার বাড়াতে ইউএস-এইডের অনুদানের কোনও উল্লেখই নেই রিপোর্টে।
ওই রিপোর্ট অনুসারে, গত অর্থবর্ষে কৃষি, খাদ্যসুরক্ষা, জল, নিকাশি ও স্বাস্থ্যবিধি, পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি, দুর্যোগ মোকাবিলা ও স্বাস্থের মতো প্রকল্পে ইউএস-এইড অনুদান দিয়েছে। ১৯৫১ সাল থেকেই ভারতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আর্থিক অনুদান দিয়ে আসছে আমেরিকা। আর এই টাকা মূলত ইউএসএডের মাধ্যমেই করা হয়ে থাকে। এখনও পর্যন্ত ৫৫৫টির বেশিও প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার সাহায্য দিয়েছে আমেরিকা।
কিন্তু দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই এসব অনুদানে কাটছাঁট শুরু করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু ভারতের নির্বাচনের জন্য আমেরিকার ২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার বা ১৮২ কোটি টাকা আর্থিক অনুদানের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই হইচই শুরু হয়। ট্রাম্পের মুখে বারেবারেই এই অনুদানের কথা উঠে এসেছে। এর মধ্যেই শনিবার তিনি কার্যত বোমা ফাটিয়ে বলেন, ‘১৮২ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে আমার বন্ধু, ভারতের মোদিকেই।’ চাপের মুখে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, বিশ্বাস করে ইউএস-এইডকে ভারতে কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল। এই অনুদানের বিষয়টি প্রচণ্ড উদ্বেগজনক ও এর তদন্ত হওয়া উচিত বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে, রবিবারও আর্থিক অনুদান ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। অনুদানের বিষয়টি নিয়ে বিজেপি মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত জয়রাম রমেশ। ট্রাম্প ও এলন মাস্ক বারবার ভারতকে অপমান করলেও তা নিয়ে কেন্দ্র কেন চুপ করে রয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।