• কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে টোল ট্যাক্স দিতে নারাজ স্থানীয়রা, দোলাচলে রাজ্য
    বর্তমান | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: সম্প্রসারিত কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচল করা যানবাহন থেকে টোল ট্যাক্স সংগ্রহের জন্য পানপুর মোড়ে তৈরি হয়েছে টোল প্লাজা। কিন্তু সেখানে আদৌ টোল নেওয়ার কাজ শুরু হবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের পূর্তদপ্তর এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। ইতিমধ্যে সোদপুরের মুড়াগাছা মোড় থেকে কাঁচরাপাড়ার কাঁপা পর্যন্ত সম্প্রসারিত (ছ’লেনের) কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সাধারণের জন্য চালু হয়ে গিয়েছে। এখন মুড়াগাছা এবং ওয়ারলেস মোড়ে নিকাশি পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। এই অবস্থায় এক্সপ্রেসওয়ের দু’পাশের এলাকার মানুষজন দাবি তুলেছেন, তাঁদের যেন টোল ট্যাক্সের আওতার বাইরে রাখা হয়। কারণ, দৈনন্দিন প্রয়োজনে তাঁদের দিনের মধ্যে একাধিকবার এই সড়ক ব্যবহার করতে হয়। প্রতিবার যাতায়াতের জন্য ট্যাক্সের টাকা গুনতে হলে সিংহভাগ মানুষের জন্যই সেটি বড় সমস্যা বলে দাবি তাঁদের। এলাকার বাসিন্দাদের এই মনোভাবের আঁচ পেয়েই সক্রিয় হয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। স্থানীয় বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম 


    বলেন, ‘মোটরবাইক, স্কুটারের মতো দু’চাকার যানের উপর টোল ট্যাক্স নেওয়া উচিত নয়। স্থানীয় গাড়ি ও যানবাহনকেও ছাড় দেওয়া উচিত। এলাকার মানুষকে বারবার যাতায়াত করতে হবে—সেকথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ বিষয়টি নিয়ে তিনি বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক 


    ও রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। 


    আগে বারাকপুরে ওয়ারলেস মোড় পার করে একটু এগলেই চোখে পড়ত টোল প্লাজা। তবে সেখানে ট্যাক্স সংগ্রহ ছিল অনিয়মিত। অনেকদিন ধরে সেই কাজ পুরোপুরি বন্ধ। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ছ’লেনের হওয়ার পর পানপুরে টোল প্লাজার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু ট্যাক্স আদৌ নেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত হয়নি। পূর্তসচিব অন্তরা আচার্য বলেন, ‘টোল নেওয়ার ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। রাজ্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে মুড়াগাছার আগে পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার বাদ দিয়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সাধারণের জন্য খুলে দিয়েছি। এই অংশের সবক’টি উড়ালপুল চালু হয়ে গিয়েছে।’ তবে সোদপুরের মুড়াগাছা থেকে কাঁচরাপাড়ার কাঁপা পর্যন্ত ৯৫ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এখন কিছু জায়গায় আলো ও ‘সাইনেজ’ লাগানোর কাজ চলছে। সরকারের সঙ্গে সড়ক নির্মাণকারী সংস্থার চুক্তি অনুযায়ী আর কয়েকদিনের মধ্যে হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন তাদের হাতে এই রাস্তার পাঁচ বছরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে দেবে। রাস্তায় আলো না থাকা, খানাখন্দ সহ সমস্যাগুলি মেটাবে তারাই। শুধু তাই নয়, আলোকায়নের জন্য খরচ হওয়া বিদ্যুতের বিলও মেটাবে তারা। প্রসঙ্গত, ছ’লেনের কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে পুরোদমে চালু হয়ে গেলে নদীয়ার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগে আমূল পরিবর্তন ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে অনেক কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে নদীয়ায়।
  • Link to this news (বর্তমান)