• ঝড়–বৃষ্টির পরিবেশ থাকবে কাল পর্যন্ত
    এই সময় | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখা তার আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে তেলঙ্গানার পরিবর্তে আপাতত ছত্তিসগড়ের উপরে রয়েছে। তবে দেশের উত্তর–পশ্চিমে নতুন করে তৈরি হয়েছে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে এখনও অবস্থান করছে বিপরীত ঘূর্ণাবর্তটি। মৌসম ভবন জানাচ্ছে, এ সব কিছুর মিলিত প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গে ঝড়–বৃষ্টির পরিবেশ চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।

    রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার আকাশ পরিষ্কার। তবে এই ঝকঝকে আবহাওয়া যে কোনও সময়েই পাল্টে যেতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরের দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতেও বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির অবস্থা তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া, হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায়।

    অর্থাৎ আজ, সোমবার এবং কাল, মঙ্গলবার— দু’দিনই বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে বাংলার বিভিন্ন জায়গায়। আবহবিদদের পূর্বাভাস, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, এবং নদিয়ায় বজ্রপাতের আশঙ্কা খুব বেশি। একই সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়াও বয়ে যেতে পারে এই তিন জেলায়। ত ছাড়া, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস বইতে পারে।

    আবহাওয়ার এই পরিবর্তন প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা বলছেন, ‘ঝঞ্ঝা, অক্ষরেখা এবং বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ওডিশা, ঝাড়খণ্ড এবং গাঙ্গেয় বাংলায় প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকেছে। তার প্রভাবেই তৈরি হয়েছে এমন বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির পরিবেশ। তবে মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলবারের পর এই ওয়েদার সিস্টেম অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে।’

  • Link to this news (এই সময়)