সোশ্যাল মিডিয়ার ‘অন্ধকার দিক’ নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি কেন স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্ব তিনি নিজের কাছে রেখেছেন, এ দিন তারও ব্যাখ্যা দিলেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের সিনিয়র-জুনিয়র চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পড়ুয়াদের নিয়ে আয়োজিত বিশেষ সভায় যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাম জমানার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সমালোচনা
এ দিন বাম জমানার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় সমালোচনা শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘একটাই কারণে নিজের কাছে স্বাস্থ্য বিভাগ রাখি, কারণ এ ক্ষেত্রে উন্নয়ন রাজ্যের একজন মন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব নয়। এটা বিস্তীর্ণ এলাকা।’ তিনি আরও বলেন, ‘বামফ্রন্ট চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অবহেলা করত।’ তিনি জানান, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারি হাসপাতালের বিল্ডিং তৈরি, নিয়মিত তাতে রং করা, বিনামূল্যে জটিল রোগের চিকিৎসা-সহ একাধিক সুবিধা সরকারি হাসপাতালে পান সাধারণ মানুষ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘অপপ্রচার’-এর বিরুদ্ধে সরব মমতা
এ দিন সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হাজারটা ভালো কাজ করুন, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চায় আসবে না। কিন্তু কিছু ঘটনা নিয়ে এমন ভাবে প্রচার করা হয় যেন, স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কেউ কাজ করছে না। এটা ঠিক নয়। একটা ভালো কাজকে খারাপ করে দিতে এক সেকেন্ড লাগে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার বেড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো-খারাপ দুই দিকই রয়েছে।’
‘চিকিৎসকদের একটাই রং, মানবতা’
এ দিন অপপ্রচার রুখে দিয়ে চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতিতে ডাক্তারদের এগিয়ে আসার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের কোনও রাজনৈতিক রং নেই। তাঁদের একটাই রং, মানবতা। আপনারা ছিলেন বলে বিনামূল্যে রোগ নির্ণয় করা থেকে শুরু করে জনকল্যাণমুখী একাধিক পদক্ষেপ করতে পেরেছে সরকার।’
সোমবারের অনুষ্ঠান থেকে ফের একবার আরজি করের নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তির দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।