• ৩ মাসে ভেঙে ফেলতে হবে দিঘার ‘ঢেউ সাগর’, বড় নির্দেশ জাতীয় পরিবেশ আদালতের
    এই সময় | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ভেঙে ফেলতে হবে দিঘার অন্যতম আকর্ষণ ‘ঢেউ সাগর’ অ্যামিউজমেন্ট পার্ক। জাতীয় পরিবেশ আদালত (এনজিটি)-এর পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, এই পার্ক তৈরি করতে গিয়ে ভঙ্গ হয়েছে উপকূলীয় নিয়ন্ত্রণ এলাকা (কোস্টাল রেগুলেশন জ়োন বা সিআরজ়েড) আইন। যে কারণে মন্দারমণির শতাধিক হোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই একই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘ঢেউ সাগর’-ও ভেঙে ফেলতে হবে। উপকূল এলাকায় বেসরকারি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ সারা দেশে অজস্র রয়েছে। সরকারি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ তেমন নেই।

    এই নির্দেশ দিতে গিয়ে এনজিটি সুপ্রিম কোর্টের তিনটি নির্দেশের উল্লেখ করা হয়েছে। তিনটি ক্ষেত্রেই পঞ্চায়েত বা পুর কর্তৃপক্ষ আইন ভেঙে নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল। এনজিটি রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে ঢেউ সাগরকে পুরোনো অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই নির্দেশ এখনই কার্যকর করবে না রাজ্য। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবে। এই থিম পার্ক তৈরি করতে গিয়ে পরিবেশ বিধি ভাঙা হয়েছে বলে এনজিটি-তে মামলা করেছিলেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত।

    দিঘার অদূরে যাত্রানালায় সমুদ্রের ধারে একটা সময়ে ছিল ভাগাড়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’ উপলক্ষ্যে সেখানে থিম পার্কের পরিকল্পনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তিনিই যাত্রানালার নতুন নামকরণ করেছিলেন। ওই এলাকার নাম দেন ‘ঢেউ সাগর’। ২০২০ সালে করোনাবিধি শিথিল হওয়ার পরে কাজ শুরু হয় ওই থিম পার্কের। সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন রাইড এবং সুবিধা রয়েছে। পার্কের মঞ্চে সপ্তাহান্তে হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। বর্তমানে আরও কিছু রাইড যোগ করায় পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে ‘ঢেউ সাগর’। পুরো প্রকল্পটি দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের (ডিএসডিএ) বাস্তবায়িত করেছে। এনজিটি-র পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চের বিচারপতি বি অমিত স্থালেকর এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য অরুণকুমার ভার্মা ঢেউ সাগর ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।

  • Link to this news (এই সময়)