পানাগড়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চন্দননগরের বাসিন্দা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের (২৬)। রবিবার গভীর রাতে গয়ার উদ্দেশে রওনা দেওয়া গাড়িটি পানাগড় বাজারের রাইসমিল রোডের কাছে উল্টে যায়। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন গাড়িতে থাকা আরও চার জন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় পেশায় নৃত্যশিল্পী ছিলেন। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ চন্দননগরের নাড়ুয়া রায়পাড়া থেকে গয়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। মধ্যরাতে বুদবুদ এলাকার একটি পেট্রল পাম্পে গাড়িটি থামালে কয়েক জন মত্ত যুবক গাড়িতে থাকা যাত্রীদের উদ্দেশে কটূক্তি করতে শুরু করে। এরপর তারা নিজেদের গাড়িতে উঠে সুতন্দ্রাদের গাড়ির পিছু ধাওয়া করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ জানিয়েছে, আতঙ্কিত চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করলে মত্ত যুবকদের গাড়ি সেটিকে ধাক্কা মারে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি প্রথমে রাস্তার ধারের একটি দোকানে, পরে একটি শৌচাগার ও লোহার যন্ত্রাংশের স্তূপে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে এবং উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুতন্দ্রার।
খবর পেয়ে কাঁকসা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি গাড়িই আটক করে। তবে অভিযুক্ত যুবকেরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্ত জানিয়েছেন, “অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় প্রায়ই বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ঘটনা ঘটে, অথচ প্রশাসনের তৎপরতা প্রশ্নবিদ্ধ। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ ও অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সুতন্দ্রার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চন্দননগরে। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবরা দ্রুত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।