• ডাক্তারদের মন জয়ে 'কল্পতরু' মমতা, পড়ে নিন ১০ পয়েন্টে
    আজ তক | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • গত বছর অগাস্টে আরজি কর হাসপাতালে সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন। সেই প্রতিবাদের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের টানা আন্দোলনের জেরে আরও বিড়ম্বনা বেড়েছিল সরকারের। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে সোমবার আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে ডাক্তারদের ক্ষোভ প্রশমনে একের পর এক উপহার দিলেন মমতা। জেনে নিন মমতার ১০ বড় ঘোষণা

    ১। সরকারি ডাক্তারদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই করা হয়েছে ৬৫ বছর।  

    ২। জুনিয়র ডাক্তার, ইন্টার্ন, পিজিটি এবং হাউস স্টাফদের বেতন দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    ৩। ডাক্তারদের জন্য আরজি কর, পিজি ও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে হস্টেল তৈরি করা হচ্ছে। মহিলা ডাক্তারদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে ৫টি হস্টেল। এছাড়াও কয়েক জায়গায় হস্টেলের অবস্থা খারাপ। ন্যাশনাল হেলথ মিশন থেকে সেগুলি সংস্কার করে দিতে বলব।

    ৪। ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ, পোস্ট গ্র্যাডয়েট ট্রেনি,পোস্ট ডক্টরেট ট্রেনি- সবার জন্য ১০ হাজার করে বাড়িয়ে দেওয়া হল।

    ৫। জুনিয়র এবং সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের বেতন বাড়িয়েছিলাম। আরও বাড়ানো দরকার। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সর্বস্তরের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের বেতন ১৫ হাজার টাকা করে বাড়িয়ে দেব। ফলে ডিপ্লোমাধারী রেসিডেন্ট ডাক্তারদের স্যালারি ৬৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হবে ৮০ হাজার। পোস্ট গ্র্যাডুয়েট সিনিয়র রেসিডেন্টদের স্যালারি ৭০ হাজার থেকে বেড়ে হবে ৮৫ হাজার টাকা। আর পোস্ট ডক্টরেট সিনিয়র রেসিডেন্টদের স্যালারি ৭৫ হাজার থেকে বেড়ে হবে ১ লাখ। 

    ৬। মেদিনীপুরে নিশ্চিতভাবে অবহেলা করা হয়েছিল। সেটা তদন্ত চলছে। জুনিয়র ডাক্তারদের কয়েকজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাঁদের উপর ছেড়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। তাঁদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সাসপেনশন তুলে নিচ্ছি। 

    ৭। সিনিয়র ডাক্তাররা দয়া করে জুনিয়রদের হাতে অপারেশন ছেড়ে দেবেন না। ন্যূনতম ৮ ঘণ্টা সরকারি পরিষেবা দিন। তারপরে প্রাইভেটে প্রাকটিস করুন। আমি ২০ কিলোমিটারকে ৩০ কিলোমিটার করে দিলাম। রোগী দেখা জরুরি হলে আপনি হাসপাতালে ডেকে নিন। 

    ৮। বিএমওএইচ-রা বিডিওদের মতো এক মাসের অতিরিক্ত চেয়েছিলেন। সেটা ১৫ দিন পাবেন তাঁরা। 

    ৯। ওরা বলেছিল, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়। রাজীব আর বিনীত এখানেই আছে। তোমরা প্রাক্তন পুলিশ কর্মীদের নিয়ে নাও। তাদের দিয়ে কাজ করাতে পারি। পুলিশকে আর একটু সক্রিয় হতে হবে। দরকারে মোবাইল ভ্যান বেশি করে বাড়িয়ে দাও।

    ১০। প্রিন্সিপ্যাল এবং সুপাররা দেখে নেবেন, এসি মেশিন ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, নার্সিং হস্টেলে জল পড়ছে কিনা... কোথাও কোনও অভিযোগ থাকলে দেখে নেবেন। আপনাদের কোনও অভিযোগ থাকলে প্রিন্সিপ্যালকে বলবেন। 
    ওষুধ ও স্যালাইনের এক্সপায়ারি ডেট ৩ মাস পরপর দেখে নেবেন। 
  • Link to this news (আজ তক)