• ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাক্টিসে ছাড় মমতার, তবে 'নরমে-গরমে' নিয়মে বদল
    আজ তক | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা কম দিয়ে প্রাইভেট প্র্যাক্টিসে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। সেই বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাক্তারদের কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা সরকারি হাসপাতালে থাকতে হবে, নির্দেশ দেন তিনি। 

    আজ সোমবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্যও রাখেন। তখনই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সিনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধ, তারা যেন কথায় কথায় সব দায়িত্ব জুনিয়র ডাক্তারদের হাতে তুলে না দেন। সিজার বা হার্ট অপারেশন করার মতো জটিল বিষয় কখনও জুনিয়রদের হাতে ছেড়ে দেবেন না। আপনারা কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ডিউটি করুন সরকারি হাসপাতালে। তারপরে যত খুশি প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করুন। যদি প্রাইভেটের কোনও আর্জেন্ট রোগী দেখার থাকে, তাহলে হাসপাতালে ডেকে নিন। সরকারি হাসপাতালে তো সব পরিষেবা থাকে। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের পরিষেবাটা দিন। তাহলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। মানুষ চিরকার থাকে না। মানুষের কাজ-কৃতিত্ব থেকে যায়। আপনাদেরও মানুষ মনে রাখবে।' 

    এতদিন পর্যন্ত নিয়ম ছিল, যে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার তাঁর ২০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করতে পারেন। সেই সীমানা আরও ১০ কি.মি বাড়িয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, এখন থেকে ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন চিকিৎসকরা। 

    প্রসঙ্গত, এদিনের সভা থেকে ডাক্তারদের বেতনও বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন মমতা। জানান, ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিদের ১০ হাজার টাকা বেতন বাড়ানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সর্বস্তরের সিনিয়র রেসিডেন্টদের বেতন ১৫ হাজার টাকা করে বাড়ানোর ঘোষণা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'ফলে ডিপ্লমাধারী সিনিয়র রেসিডেন্টদের স্যালারি ৬৫ হাজার থেকে বেড়ে হবে ৮০ হাজার টাকা। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সিনিয়র রেসিডেন্টদের বেতন বর্তমানে ৭০ হাজার থেকে বেড়ে হবে ৮৫ হাজার। এবং পোস্ট ডক্টরেট সিনিয়র রেসিডেন্টদের বেতন ৭৫ হাজার থেকে বেড়ে হবে ১ লক্ষ টাকা।' 


    রাজ্যের স্বাস্থপরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, 'স্বাস্থ্যসাথীর সাফল্যে চিকিৎসকদের বড় অবদান আছে। ৯ কোটি মানুষের উপকারে এসেছে এটি। বেসরকারি হাসপাতালেও সুযোগ আছে। আমাদের আমলে দেশের সেরা হাসপাতাল পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। ১৩, ৫০০টির বেশি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে ৪০ হাজার বেড বেড়েছে। জাল ভিডিওর মতো জাল ওষুধও বেরোচ্ছে এখন।" ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বরে ইঞ্জেকশন দেওয়ায় বাংলা এক নম্বরে, বলে দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী । পাশাপাশি, হাসপাতালের রক্ষায় প্রাক্তন পুলিশকর্মীদের রাখার পরামর্শ দেন। মোবাইল ভ্যান আর বাড়ানোর নির্দেশ দেন। তিন মাস পরপর সব ওষুধ, ইঞ্জেকশনের এক্সপায়েরি ডেট দেখে নেওয়ার নির্দেশ দেন।'
     

     
  • Link to this news (আজ তক)