বিধান সরকার: চুঁচুড়ায় রয়েছে চন্দননগর পুলিসের হেড কোয়ার্টার। পুলিস লাইন। যেখানে রয়েছে পুলিস কমিশনার, ডেপুটি পুলিস কমিশনার অ্যাসিসট্যান্ট, পুলিস কমিশনারের অফিস। যে বিল্ডিংয়ে চন্দননগর পুলিসের হেডকোয়ার্টার। সেটি বহু প্রাচীন যেটা ডাচেদের আমলের। পুরনো এই ঐতিহাসিক ভবনে এর আগেও সাপের আড্ডা দেখা গিয়েছিল।
সোমবার কমিশনার অফিসের পিছন দিকে একটি সাপ দেখতে পান পুলিস কর্মিরা। খবর দেওয়া হয় ব্যান্ডেলের সাপ উদ্ধারকারী চন্দন ক্লেমেন্ট সিংকে। চন্দন গিয়ে পুলিস লাইন থেকে একটি বড় আকারের চন্দ্রবোড়া উদ্ধার করেন। চন্দন জানান, একটা চন্দ্রবোড়া ৪০-৪৫ টা বাচ্চা দেয়। তারা বাসস্থান সংকটে রয়েছে। যেখানে বসবাস করে, সেখানে জল ঢুকে গেলেও বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে। এই এলাকায় একাধিক বার সাপ উদ্ধার হয়েছে। তাই সাবধানে থাকা উচিত। সাপে কামড়ালে সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, সুন্দরবন তথা রাজ্যে মাত্র ৬ ধরনের বিষধর সাপের দেখতে পাওয়া যায়। ৬ প্রজাতির মধ্যে কালাচ,কেউটে ও গোখরো’র দেখা মেলে সুন্দরবন এলাকায়। এছাড়াও সুন্দরবনের গহীণ অরণ্যে দেখা যায় প্রায় বিলুপ্তি প্রজাতির শঙ্খচূড় সাপ কেও। সাধারণত এই ৪ প্রজাতির বিষধর সাপ সুন্দরবন এলাকায় দেখা য়ায়। কালাচ,কেউটে ও গোখরো’র কামড়ে মানুষের মৃত্যু ঘটে। যদিও শঙ্খচূড় সাপের দেখা মেলে না সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ে। বিগত করোনা কাল থেকে চন্দ্রবোড়া সাপের উৎপাত বেড়েছে সুন্দরবন সহ সমগ্র জেলাজুড়ে।