সঞ্জয় রাজবংশী: পূর্বস্থলীর কুল এবার পাড়ি দিচ্ছে কুম্ভমেলায়। লরি লরি কুল প্রায় প্রতিদিনই যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের কুম্ভমেলার উদ্দেশ্যে। কেন? সেখানেই নাকি রয়েছে কুলের বিপুল চাহিদা। আর তাই সরস্বতী পুজো থেকে টানা ভালো দাম পেয়ে খুশি এই এলাকার চাষিরা।
প্রতি বছরই পূর্বস্থলীতে সব্জির দাম ঠিক মতো না পেয়ে লোকসানের মুখে পড়েন এখানকার চাষিরা। আর তাই বেশ কয়েক বছর ধরেই বিকল্প চাষ হিসেবে এখানে তাঁরা কুলের চাষ বেছে নিয়েছেন। পূর্বস্থলীর সরডাঙা এলাকার কুল বহু দিন ধরেই পাড়ি দিচ্ছে পড়শি রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ডে। এবার সেই খাতায় নাম তুলল উত্তর প্রদেশও।
নানা রকম কুল, নানা প্রজাতির। বাউকুল, ভারতসুন্দরী, বলসুন্দরী ইত্যাদি নানা প্রজাতির কুল রয়েছে। এই সব রকম কুলের চাহিদাই এবার বেড়েছে। ভালো দামও পাচ্ছেন চাষিরা। তাই এখানে বিকল্প চাষ হিসেবে অনেকেই ঝুঁকছেন কুল চাষের দিকে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার সব্জি ভাণ্ডার হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে পূর্বস্থলীর। পূর্বস্থলীর মূলত মুকশিমপাড়া, কালেখাঁতলা-১, শ্রীরামপুর, বকপুর অঞ্চলের চাষিরা কুল চাষ করছেন। পাশাপাশি পূর্বস্থলী-২ ব্লকের সরডাঙা, বড়গাছি এলাকাতে বিঘার পর বিঘা জমিতে বাউকুল, বলসুন্দরী, ভারতসুন্দরী প্রজাতির কুলের চাষ হয়। আর এই সমস্ত বিভিন্ন প্রজাতির কুল চাষ করে বহুদিন ধরেই লাভের মুখ দেখছেন তাঁরা। কৃষকেরা জানাচ্ছেন, গতানুগতিক চাষপদ্ধতি ছেড়ে বেরিয়ে অনেকটাই লাভবান হয়েছেন তাঁরা। এর উপর এবার কুম্ভমেলায় এই কুলের চাহিদা বাড়ায় অনেকটাই লাভবান হচ্ছে তাঁরা।