অয়ন ঘোষাল: ছোট ভাই প্রসূন দে ও প্রণয়ের নাবালক পুত্রকে বাইপাস লাগোয়া বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া নিয়ে নতুন করে জটিলতা। পুলিস সূত্রের খবর, বারবার প্রসূন দে-র আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা সাড়া দিচ্ছেন না। প্রণয়ের ক্ষেত্রে তার শ্বশুর অর্থাৎ সুদেষ্ণার বাবা হাসপাতাল বদলের সম্মতি দিয়েছিলেন। সেই মর্মে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় পেপার ওয়ার্ক অনুয়ায়ী তাঁকে শনিবার ছেড়ে দেয়। যদিও বেলা ২ টোয় ছাড়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত এই পেপার ওয়ার্ক জটিলতার কারণে ছাড়া পেতে রাত ৮ টা বেজে যায়।
প্রসূনের ক্ষেত্রে সেই জটিলতা কটার ইঙ্গিত মিলেছে না বলে পুলিস সূত্রে খবর। প্রসূনের মৃত স্ত্রী রোমির বাবা অর্থাৎ প্রসূনের শ্বশুর (যিনি এই ঘটনায় অভিযোগ দায়েরকারী) তার সঙ্গে পুলিস গতকাল একবার ফোনে যোগযোগ করতে পেরেছিল। তাকে বলা হয়েছিল এই বেসরকারি হাসপাতালে এসে রিলিজ অর্ডার-সহ অন্যন্য প্রয়োজনীয় পেপার ওয়ার্ক করতে। যাতে প্রণয়ের মতো প্রসূনকেও এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তর করা যায়।
তিনি রবিবার পুলিসের এই প্রস্তাব শোনার পর তিনি জানিয়ে দেন আমি কোথাও যেতে পারব না। তারপর থেকেই ফোন বন্ধ করে দিয়েছেন। তারপর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি বলে পুলিস সূত্রে খবর। এই অবস্থায় কিভাবে প্রসূনকে সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে তা নিয়ে সংশয়ে পুলিস। জটিলতা আছে প্রণয়ের নাবালক পুত্রের হাসপাতাল বদল নিয়েও। স্থানান্তরে অসুবিধা নেই, এই কথা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে রবিবারই পুলিসকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সমস্যা হল, তারও প্রয়োজনীয় পেপার ওয়ার্ক সম্মতি সূচক সইয়ের অভাবে আটকে আছে। কিশোরের দায়িত্ব বা কাস্টডি কেউ নিতে চাইছে না। সেক্ষেত্রে যদি তাকে হোমে পাঠাতে হয়, তাহলেও আগে একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।