অর্ক দে ও শেখর চন্দ্র, বর্ধমান ও আসানসোল: গুজরাটে বেড়াতে গিয়েছিলেন বাংলার বাসিন্দারা। সেখানেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের পাঁচজন। আরও বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমেছে। কান্নার রোল পড়েছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, বর্ধমান ও আসানসোলের ন’জন গুজরাট বেড়াতে গিয়েছিলেন। গতকাল গুজরাটের গির জঙ্গল দেখতে যাওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। সেসময় আমেদাবাদ-গুজরাট জাতীয় সড়কে লিম্বডি তালুকের কাছে তাঁদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। জানা গিয়েছে, ডাম্পারের পিছনে ধাক্কা মারে পর্যটকদের গাড়িটি। সংঘর্ষের তীব্রতায় দুমড়েমুচড়ে যায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয়।
মৃত দেবব্রত মুখোপাধ্যায়, রীতা মুখোপাধ্যায় ও ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় একই পরিবারের সদস্য। বর্ধমান পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশাহি রোডের রবীন্দ্রকানন এলাকায় তাঁদের বাড়ি। মৃত অনিকেত তা-র বাড়ি বর্ধমানের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামলাল এলাকায়। আসানসোলের কোর্ট মোড়ের বাসিন্দা গৃহবধূ শুক্লা চট্টোপাধ্যায়ও দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। জানা গিয়েছে, তাঁর স্বামী ইসিএলের প্রাক্তন আধিকারিক মানবেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুজরাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি তিনজনের শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তারপর পরিবারের সদস্যদের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবরে প্রতিবেশীরা হতবাক। আত্মীয়স্বজনরাও তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন। গোটা এলাকা শোকস্তব্ধ। সোমবার দুপুরের পর ওই এলাকায় যান বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন সাহা। স্বজনহারাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।