অর্ণব দাস, বারাকপুর: মেয়ে-জামাইয়ের অশান্তি থামাতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল শ্বশুরের। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঘোলা থানার অন্তর্গত পানিহাটি এলাকায়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে অশান্তি হত। গতকাল সেই ঝগড়া থামাতে গিয়েছিলেন মেয়ের বাবা। তখনই জামাই বেধড়কর মারধর করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রৌঢ়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এদিকে পলাতক অভিযুক্ত জামাই। খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অলোক মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে অয়ন্তিকার সঙ্গে চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সৈকত বসু ওরফে বিকির। তাঁরা সকলেই পানিহাটি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অয়ন্তিকার উপরে অত্যাচার করত বিকি। গতকাল রাতেও একইরকম অত্যাচার করছিল সে। সেই খবর বাবাকে জানিয়েছিলেন মেয়ে। একই পাড়ায় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি হওয়ায় রাতেই তাঁকে বাঁচাতে ছুটেছিলেন অলোকবাবু। ইচ্ছে ছিল, মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু নিজেই আর ঘরে ফিরতে পারলেন না অলোকবাবু।
অশান্তির সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিল বিকি। শ্বশুর অলোকবাবু পৌঁছতেই তাঁর উপর চড়াও হয় জামাই। ক্রমাগত ঘুষি মারতে থাকে সে। অলোকবাবুর বুকে লাগে। এরপরই অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পলাতক অভিযুক্তের খোঁজে সক্রিয় পুলিশ। আজ, সোমবার অলোকবাবুর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।