সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পানাগড়ে ইভটিজারদের হাত থেকে বাঁচতে নৃত্যশিল্পীর মৃত্যুর ঘটনায় ফুঁসে উঠলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বললেন, “এরা বিকৃত মনস্ক। অভিযুক্তদের জামাকাপড় খুলে রাস্তায় ঘোরানো উচিত।” কুণাল ঘোষের কথায়, অভিযুক্তদের রাস্তায় বের করে শাস্তি দিতেই তবেই আর কেউ এরকম অপরাধ করার সাহস পাবে না।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। চন্দননগর থেকে একটি গাড়িতে মৃত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়-সহ পাঁচজন বিহারের গয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। মাঝরাতে পশ্চিম বর্ধমানের বুদবুদের ১৯ নং জাতীয় সড়কের পাশে একটি পেট্রল পাম্পে জ্বালানি তেল ভরানোর জন্য থামে গাড়িটি। তেল ভরার পর আবার গাড়িটি জাতীয় সড়ক ধরে পানাগড়ের দিকে চলতে শুরু করে। এমন সময়েই বিপত্তি ঘটে। জানা যায়, একটি সাদা রঙের চারচাকা গাড়ি ধাওয়া করে সুতন্দ্রাদের গাড়িকে। প্রথমে তাদের গাড়ি ধাওয়া করে ওই গাড়িটি। তারপর সুতন্দ্রাকে উদ্দেশ্য করে খারাপ কথাবার্তা বলতে থাকে। ওই গাড়িতে ছিল প্রায় ৫ জন যুবক। পরে তরুণীর গাড়ির পাশে ধাক্কা মারে অভিযুক্তদের গাড়ি। তাতে মৃতার গাড়িটি ডিভাইডারে উঠে যায়। এরপরই তিনি থানায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গাড়ি থানার দিকে এগোতেই ফের ধাক্কা দেওয়া হয় তাঁদের গাড়িতে। তখনই তরুণীর গাড়িটি উলটে যায়। পুলিশ গিয়ে সুতন্দ্রাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।
পানাগড় কাণ্ড নিয়ে সোমবার একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বললেন, “পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। এর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার কোনও যোগ নেই। কিন্তু এই দুর্যোধন-দুঃশাসনদের জামাকাপড় খুলিয়ে রাস্তায় বের করা উচিত।” এদিন তিনি আরও বলেন, “পুলিশ রাস্তায় থাকে। মোড়ে মোড়ে ট্রাফিকিং হয়। তা সত্ত্বেও কিছু মানুষ অপরাধ করছে। এই ধরণের ঘটনা বাম আমলেও হত। এখন অনেক কম হয়। তবে আমাদের দেখতে হবে যাতে কেউ আর এধরণের কাজের সাহস দেখাতে না পারে।”