অর্ণব আইচ: নির্দেশ মেনে সোমবার শিয়ালদহ আদালতে অভয়া ধর্ষণ-খুনে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। সেখানেই জানানো হয়েছে, এখনই ফেরত দেওয়া হবে না টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের সিম কার্ড। ওই সিমটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি তদন্তকারীদের। এদিকে এদিন আদালতে অভয়ার আইনজীবী জানালেন, সিবিআই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে না। তদন্তের অগ্রগতি জানতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। আদালতে কেঁদে ফেললেন অভয়ার মা।
সোমবার দুপুরে শিয়ালদহ আদালতে মামলার অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই জানিয়েছে, দ্রুত সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। যদি কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট হয়ে থাকে তা তদন্ত করে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে দেওয়া হবে। এখনই ফেরত দেওয়া হবে না টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের সিম কার্ড। অভয়ার পরিবারের তরফে বারবার দাবি করা হচ্ছে, তাঁরা অন্ধকারে। সিবিআই সেপ্রসঙ্গে এদিন দাবি করে, পরিবারকে তদন্ত নিয়ে অন্ধকারে রাখা হয়নি। একাধিকবার পরিবারকে সমস্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। পরিবার বা পরিবারের আইনজীবী ট্রায়ালের সময়েও ছিলেন।
এদিন আদালতে অভয়ার বাবা বলেন, “৭মাস ধরে সিবিআই তদন্ত চলছে। কলকাতা পুলিশ ৫ দিন তদন্ত করছে। সেই সময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু সিবিআইয়ের লোক কোথায় আছে আমরা কিছুই জানি না। আজ পর্যন্ত ৭ মাসে কী তদন্ত হয়েছে সেটাও জানি না। এমনকী মামলার শুরুর দিকে আমাদের জানানোই হয়নি। আদালতের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গত ১০ই নভেম্বর তদন্তকারী অধিকারিক সমন দিতে এসেছিলেন। সই করে আমরা সেই সমন নিয়েছি। কিন্তু এই সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট আমাদের জানানো হয়নি। নিম্ন আদালতে ট্রায়াল চলছে, আমাদের সেখানে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।”
অভয়ার আইনজীবী এদিন বলেন, “একটা গ্যাপ ছিল। কোনও যোগাযোগ হয়নি। তবে সিবিআই স্টেটাস রিপোর্ট দিয়েছে তাতে আমরা খুশি।” এদিন বিচারক অভয়ার বাবাকে বলেন, “আপনারা নিজেদের ব্রাত্য ভাববেন না।” তিনি আরও বলেন, কলকাতা পুলিশ এবং সিবিআইয়ের কিছু নিয়ম রয়েছে। তারা একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ের পর তথ্য জানায়। আপনারাও জানতে পারবেন। সিবিআই কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন সেই বিষয়ে নাই জানাতে পারেন। ফরেনসিক রিপোর্ট বা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট জানাতেও বাধ্য নন তাঁরা। এরপরই আদালতে কেঁদে ফেলেন অভয়ার মা। বিচারক তাঁকে শান্ত হতে বলেন, যা অভিযোগ রয়েছে তা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জানাতে বলেন।